ডিসেম্বর থেকে পরের পর মহিলাদের গলার হার ও ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিল শিলিগুড়ি পুলিশ। শিলিগুড়ি, প্রধাননগর থেকে ভক্তিনগর এলাকায় একাধিক মামলাও হয়। বাইক আরোহী একদল দুষ্কৃতীর দৌরাত্ম্য রুখতে থানাগুলির নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। শেষে, এক মহিলার ঘটনার সময় দেখে রাখা বাইকের নম্বর ধরেই পরপর সাফল্য পেল পুলিশ। তিনটি বাইক, দুটি মোবাইল, সোনার হার-লকেট-সহ পাঁচ জনের দু’টি দুষ্কৃতী দল ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। বুধবার দিনভর ভক্তিনগর, প্রধাননগর থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়েছে।
পুলিশ জানিযেছে, প্রধাননগরের চা নিলাম কেন্দ্রের সামনে, দুই মাইলের সিনেমা হল, সেবক রোডের একটি হোটেল এবং সর্বশেষে মিলনপল্লিতে ছিনতাইদের ঘটনাগুলি ঘটে। ধৃতেরা পোকাইজোত, প্রধাননগর, বাইপাস-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ভক্তিনগর থানা ধরেছে বিজয় দে, মহম্মদ রশিদ এবং বিশ্বজিৎ রায়কে। প্রধাননগর থানায় গ্রেফতার হয় রঞ্জয় যাদব এবং সমীর সিংহ। এর মধ্যে রঞ্জয়কে ক’দিন আগে ধরা হয়েছিল। দু’টি দলের আরও অন্তত ৫ জনকে খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাইকগুলি চুরির কি না, দেখা হচ্ছে। ফাঁকা রাস্তায় মহিলাদের কাছ থেকে চিনতাই করত দলটি। মোবাইল ও চুরির গয়না বিক্রি করে দিত। উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে একটি আইফোনও রয়েছে। এ দিনই এনজেপি থানার নেতাজি মোড় থেকে ৪০ গাঁজা-সহ সমীর দাস নামের এক ব্যক্তিকে ধরা হয়। জনতা নগরের বাসিন্দা সমীর কোচবিহার থেকে গাঁজাগুলি বাসে করে এনে পাচারের চেষ্টা করছিল।
উল্লেখ্য, ক’দিন আগে গ্রেফতার হওয়া রঞ্জয় খড়িবাড়তে খুনের ঘটনায় ফেরার বিজেপি নেতার ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।