আবার মৃত্যু চোপড়ায়, বাড়ছে ক্ষোভ

দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল চোপড়ার লক্ষ্মীপুর এলাকা। রবিবার বেলা ১০টা নাগাদ লক্ষ্মীপুরের চাকলাগছ এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিও চলে। কুড়ুল, ছুরি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চোপড়া শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:২১
Share:

দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল চোপড়ার লক্ষ্মীপুর এলাকা। রবিবার বেলা ১০টা নাগাদ লক্ষ্মীপুরের চাকলাগছ এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিও চলে। কুড়ুল, ছুরি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহম্মদ সমিরুল নামে তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে কংগ্রেসের দাবি। বাড়ি চোপড়া থানার নন্দগছ এলাকাতে। চাকলাগছ লাগোয়া মিঠাপোখরে এদিনের গোলমাল ছড়ালে সেখানে সংঘর্ষে আরও দু’জন কংগ্রেস কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে চোপড়া এবং ইসলামপুর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল। ছিলেন ইসলামপুরের ভারপ্রাপ্ত এসডিপিও, ইসলামপুর ও চোপড়া থানার আইসিরাও। সমিরুলের মৃত্যুতে রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। আবুলও আশঙ্কাজনক। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে একাধিক জায়গায়।’’

Advertisement

নির্বাচন পর্বের শুরু থেকেই দফায় দফায় চোপড়ার লক্ষ্মীপুর, ঘিরণীগাঁও এবং দাসপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। নির্বাচন এবং গণনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে রাখে কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীরা। পরে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গোলমাল তৈরি হয়। বোর্ড গঠনের আগের রাতে গুলি, বোমা চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢুকতে পারছে না বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়েইছে। শনিবার কাছাকাছি মালিগাঁও এলাকায় সভাও করে তৃণমূল।

তৃণমূলের চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘এলাকাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই তাণ্ডব চালাচ্ছে কংগ্রেস ও সিপিএমের লোকেরা। আমাদের জয়ী প্রধানকে পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের সাধারণ সমর্থকরা ভয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছে।’’ বিধায়কের দাবি, এদিন তাঁদের কর্মীরা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় কংগ্রেস, সিপিএমের লোকজন চড়াও হয়। গুলি ছোড়ে। প্রাণ ভয়ে তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে গেলে ওদের ছোড়া গুলি নিজেদের লোকের গায়েই লেগেছে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িঘর, গরু লুটপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘এলাকাতে ভয় ও সন্ত্রাশের পরিবেশ কায়েম রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। সাধারণ মানুষের মন তারা পায়নি। এখন ভয় দেখিয়ে এলাকা দখল করছে।’’ সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক আনওয়ারুল হক বলেন, ‘‘তৃণমূলই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন