ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তুষ্ট মেয়রও

সকাল থেকে কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। কাউন্টারের জানালাও খোলা। কিন্তু, কর্মীর দেখা নেই। কর্মীর দেখা মিলল নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধঘণ্টা পরে। শিলিগুড়ি পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে গিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নাকাল হওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। শনিবার সকাল দশটার পরেই তিনটি কাউন্টার খুলে গেলেও, কোনও কাউন্টারেই কাজ চলছিল না বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৫ ০২:৪০
Share:

বন্ধ কাউন্টার। অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা। —নিজস্ব চিত্র।

সকাল থেকে কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। কাউন্টারের জানালাও খোলা। কিন্তু, কর্মীর দেখা নেই। কর্মীর দেখা মিলল নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধঘণ্টা পরে।

Advertisement

শিলিগুড়ি পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে গিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নাকাল হওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। শনিবার সকাল দশটার পরেই তিনটি কাউন্টার খুলে গেলেও, কোনও কাউন্টারেই কাজ চলছিল না বলে অভিযোগ। সেই কাউন্টার খুলতে সকাল ১১টা বেজে যায় বলে লাইনে দাঁড়ানো ব্যবসায়ীদের একাংশ অভিযোগ করেছেন। সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকায়, দুপুরের দিকে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের সামনে ভিড় উপচে পড়ে। শনিবারের চড়া রোদে দাঁড়িয়ে গরমে হাসফাঁস করতে হয় ব্যবসায়ীদের। পুর কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি জানতে পারেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও।

জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে পুর কমিশনার সহ অনান্য আধিকারিকদের নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মেয়র। সেখানে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েও বিস্তারিত জানতে চান। কর্মীর অভাবের কারণেই সমস্যা হচ্ছে বলে পুরসভার আধিকারিকরা মেয়রকে জানান। তবে সেই যুক্তিতে অবশ্য মেয়র সন্তুষ্ট হননি। কী কী কারণে সমস্যা হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন অশোকবাবু। সেই সঙ্গে বারবার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ নিয়েই কেন নানা অভিযোগ উঠছে, তা নিয়েও মেয়র ‘উষ্মা’ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ নিয়ে হ্যাপা পোহাতে হতো না। এখন সকাল বেলায় লাইনে দাঁড়িয়েও কাজ সারতে দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ দিন কর্মীদের কয়েকজন অনুপস্থিত এবং কয়েকজন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে প্রথমে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।’’ যদিও, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুধু এক দিন নয়, রোজই একই ঘটনা চলছে। মেয়র অশোকবাবুও যে কর্মীর অভাব রয়েছে বলে মানতে রাজি নন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। মেয়রের কথায়, ‘‘আমাকে জানানো হয়েছে, কর্মীর অভাবের কারণে সমস্যা চলছে। আমি পুরো বিষয়টি রিপোর্টে জানাতে বলেছি। কত কর্মী রয়েছেন, কত জন থাকার কথা, কবে কতজন অনুপস্থিত তাও জানাতে বলেছি। তাহলেই সব পরিষ্কার হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন