প্রতিশ্রুতি সার, ক্ষোভ প্রার্থীর

১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার অনিমা বর্মনের দাবি, সিপিএমের কাউন্সিলার ছিলেন বলে তাঁদের ওয়ার্ডে কোনও উন্নয়ন করত না তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত প্রকল্পের দাবি করেছিলেন তার ৯০ শতাংশই অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

Advertisement

রাজকুমার মোদক

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৩
Share:

প্রার্থী করা হবে এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে গত ডিসেম্বরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ধূপগুড়ি পুরসভার ১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই মহিলা কাউন্সিলর। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। জানিয়ে দিলেন, এ বার পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে কোনও প্রচারে যাবেন না। ভোটটা কাকে দেবেন স্পষ্ট করলেন না তাও।

Advertisement

১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার অনিমা বর্মনের দাবি, সিপিএমের কাউন্সিলার ছিলেন বলে তাঁদের ওয়ার্ডে কোনও উন্নয়ন করত না তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত প্রকল্পের দাবি করেছিলেন তার ৯০ শতাংশই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বার বার কথা বলেও কাজ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘গত বছর শেষের দিকে তৃণমূলের নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলে। ওরা প্রতিশ্রতি দিয়েছিল পুরভোটে প্রার্থী করে জিতিয়ে এনে এলাকায় কাজ করার সুযোগ দেবে। বাসিন্দাদের জন্য কাজ করতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম।’’

অনিমাদেবীর অভিযোগ, তাঁদের ওয়ার্ডে বেশির ভাগ রাস্তা এখনও কাচা। নর্দমা নেই। পুরসভা বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের উদ্বোধন করলেও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগ জায়গায় পাইপ বসানো হয়নি। জনস্বাস্থ্য দফতরের পরিশুদ্ধ পানীয় জলের কলগুলিও সব নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা বিজয় দাস বলেন, “১ নম্বর ওয়ার্ড শহর বলেই মনে হয় না। অনেক গ্রামেই এই ওয়ার্ড থেকে বেশি উন্নত।”

Advertisement

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার দয়ামনি রায় বলেন, “পুরভোট ঘোষণা হতেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, বিধায়ক মিতালি রায় সহ নেতারা বার বার বাড়িতে এসে তৃণমূলের প্রচারের যাওয়ার জন্য হাত ধরে অনুরোধ করছেন। কিন্তু আমি ঠিক করেছি, পুরভোটে কোনও দলের প্রচারের যাব না। যাঁরা দলে যোগদান করিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের প্রচারে যাই কী করে?’’

তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলে নেতারা এখন দলের তাঁদের বড় পদ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু কোনও পদের জন্য তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেননি। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ সিংহ অবশ্য দাবি করেন, “দুই কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা প্রচারের বের হবেন এবং অচিরেই জেলা সভাপতি তাঁদের মহিলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর ঘোষণা করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন