—নিজস্ব চিত্র।
জমি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্তে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের, বিশেষ করে শিলিগুড়ি পুর এলাকা ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতাদের ধরপাকড়ও শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই। তা সত্ত্বেও ফের একই অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়ায়।
অভিযোগ উঠেছে, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের আমবাড়ি কাজিগজ এলাকায় মতিয়া নদীর চর ও শ্মশান ঘাট দখল করে নেওয়া হয়েছে পেপার মিল তৈরির নামে। শুধু তা-ই নয়, অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নদীর গতিপথও। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নদী বাঁধের একাংশ। দখল করা হয়েছে শ্মশানের জমিও।
স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম বর্মণ বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই এই শ্মশানঘাট দেখে আসছি। হঠাৎ করে আমরা দু’দিন ধরে দেখছি রাতের বেলায় পেপার মিল কর্তৃপক্ষ বাউন্ডারি ওয়াল দিচ্ছেন। এর পরেই আমরা কাজ আটকে দিই। নদী ও নদীর চর দখল করছে তারা। নদীকে কেন্দ্র করে যে সরকারি বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, সেই বাঁধও ভেঙে দিয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা নারদ বর্মণ বলেন , ‘‘কী ভাবে পেপার মিল কর্তৃপক্ষ নদীর চর ও শ্মশান ঘাট দখল করে সীমানা প্রাচীর দিচ্ছে, তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। কাজ হয় রাতের বেলা। দিনের বেলা কোনও কাজ হয় না। আমরা বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানাব।’’
পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য এ ব্যাপারে অবগতই নয়। বিধাননগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোতি খালকো বলেন , ‘‘আমাকে এই বিষয়টি নিয়ে কেউ জানাননি। এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও জানাননি। যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে অভিযোগ জানাতে হবে। আর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নদীর চর কোনও ভাবে দখল করা যায় না। এমনকি শ্মশানঘাটও নয়। তবে এর জন্য আমাদের কাছে এনওসির জন্য কেউ আসেনি।’’