এক সপ্তাহের মধ্যে ফের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় সরব পড়ুয়ারা বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
সোমবার বিকেলে কমার্স বিভাগের সামনের রাস্তায় বহিরাগতরা এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকে ওই ছাত্রী। সপ্তাহখানেক আগেই বিকেল বেলা গ্রন্থাগার থেকে বার হওয়ার সময় এক ছাত্রীকে তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য এক যুবক জোরাজুরি করে বলে অভিযোগ উঠেছিল পড়ুয়াদের মধ্যেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে কেউ নালিশ জানায়নি। তবে পরপর এমন ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কেন নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলে এ দিন সরব হন পড়ুয়াদের একাংশ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি বিবেক ওঁরাও। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতরে নিরাপত্তার দাবিতে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন ওই দু’টি ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ শিলিগুড়ির বাইরে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু পড়ুয়া আন্দোলন করেছে বলে জেনেছি। তবে যে দু’টি ঘটনা নিয়ে তারা অভিযোগ তুলছে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ জানায়নি। ঘটনার কথা তখনই কেন জানানো হল না, দেখা হচ্ছে। কিছু ঘটলে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।’’
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শিশু বিকাশ, মহিলা ও সমাজ কল্যাণ বিভাগের সচিব রোশনি সেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন শ্রাবন্তী বসাক নামে এক ছাত্রী। এর পরেই ক্যাম্পাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে তৎপর হন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বলেন, ‘‘নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’’ আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিবেক ওঁরাও বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে অনেক দিন থেকেই শুনে আসছি। কবে সেই কাজ হবে সেটাই প্রশ্ন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ক্যাম্পাসে মাঝে মধ্যেই ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’’