Raju Bista

বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার কনভয় লক্ষ করে ইটবৃষ্টি! বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ফেরার পথে হামলা

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আক্রান্ত হন দু’জনই। সেই উত্তরবঙ্গেই এ বার দার্জিলিঙের সাংসদের কনভয় লক্ষ করে হামলার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৩৬
Share:

কনভয়ের গাড়িতে হামলার চিহ্ন দেখাচ্ছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

দার্জিলিঙের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা রাজু বিস্তার কনভয় লক্ষ করে ধেয়ে এল একের পর এক ঢিল। অভিযোগ, সুখিয়াপোখরির কাছে কয়েক জন হামলা করেন রাজুর কনভয়ে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শনিবার রিম্ভিক এবং লোধামায় ধসে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। সন্ধ্যার দিকে ফেরার পথে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। কে বা কারা, রাজুর কনভয় লক্ষ করে ঢিল ছুড়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। দার্জিলিঙের সাংসদের অভিযোগ, ‘‘আমাকে লক্ষ করেই পাথর ছোড়া হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেটা আমার গাড়িতে না লেগে আমার গাড়ির পিছনে কনভয়ে থাকা অন্য একটি গাড়ির গায়ে লাগে।’’

হামলার ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছেন রাজু। জোরবাংলো থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, ‘‘এ রাজ্যে এটাই চলছে। এ ভাবে পাথর মেরে কাউকে ভাগিয়ে দেওয়া যায় না, এটা পাহাড়বাসীকে বুঝতে হবে। কেউ যদি হিংসার রাজনীতিতে এখনও ভরসা রাখে তা হলে আমিও তৈরি।’’ পরে ঘটনাটি নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হন রাজু। তাঁর কথায়, ‘‘পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ হওয়ার পরেই এই হামলা। যা অত্যন্ত সন্দেহজনক। শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা।’’ উল্লেখ্য, দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খাদের নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথোপকথন চালানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ কুমার সিংহকে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও শনিবার চিঠিও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, লাঠি, জুতো নিয়ে খগেন এবং শঙ্করের উপর চড়াও হন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ি লক্ষ করে ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। তাতেই মুখে আঘাত পান খগেন। বাঁ চোখের নীচ থেকে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। ধাক্কা দেওয়া হয় শঙ্করকেও। তাঁরও হাতে চোট লাগে। দু’জনকেই পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

পরে শঙ্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেও খগেন এখনও চিকিৎসাধীন। খগেনদের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। খগেনদের উপর হামলার নিন্দা করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মোদী। দুষেছিলেন রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলকে। সেই অভিযোগে পাল্টা মুখ খুলেছিলেন মমতাও। তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, কাউকে প্ররোচনায় পা না-দেওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন মমতা। খগেনদের উপর হামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদের কনভয় লক্ষ করে ঢিল-বৃষ্টির অভিযোগ উঠল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement