Amit Shah

Darjeeling: পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শাহের, ডাক পেল না মোর্চা

বিজেপি সাংসদের দাবি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের আমলে দেশ জুড়ে বহু জটিল বিষয় সমাধানের পরিবর্তে তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৩৫
Share:

মঙ্গলবারের বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১২ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আহ্বান করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরোহিত্যে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্য সরকার এবং পাহাড়ের প্রতিনিধিদের। যদিও এতে ডাক পায়নি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাশাপাশি, রাজ্যকে অবহিত না করেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে দাবি উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের।

আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। শনিবার শিলিগুড়িতে এসে রাজু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১২ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বিকেল ৪টেয় এই বৈঠক আহ্বান করেছেন। এতে রাজ্য সরকার এবং গোর্খা প্রতিনিধিত্ব থাকবে। তবে এই বৈঠক জিটিএ-র জন্য নয়। এমন ব্যক্তিদেরই বৈঠকে ডাকা হয়েছে, যাঁরা সংবিধানের প্রতি আস্থাশীল। পাহাড়ের সেই প্রতিনিধিরা ছাড়াও রাজ্য সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বৈঠকে।’’

বিজেপি সাংসদের দাবি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের আমলে দেশ জুড়ে বহু জটিল বিষয় সমাধানের পরিবর্তে তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁর দাবি, ‘‘সিপিএম এবং কংগ্রেসের সময়কার ধামাচাপা দেওয়া জটিল বিষয়ের এক এক করে সমাধানের চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। গোর্খাদের সঙ্গে যুক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে। গোটা দার্জিলিংবাসীর জন্য এটি বড় বিষয়। গোর্খাদের ত্যাগ এবং বলিদানের স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।’’

Advertisement

এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের জন্য এর আগেও বহু কথা বলেছে বিজেপি সরকার। ওদের কথার কোনও মূল্য নেই। পাহাড়ের উন্নয়নে কোনও প্যাকেজই দেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’’ গৌতমের দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে রাজ্য সরকারই মূল অংশগ্রহণকারী। পুজোর মধ্যে কারা কী ভাবে বৈঠক করছে, কাকে ডাকছে, তা নিয়ে কোনও ধারণা নেই। বিষয়টি রাজ্যের আওতাধীন। অথচ রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা সঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নিয়মনীতি মানছে না।’’

আসন্ন বৈঠকে মোর্চার প্রতিনিধিত্ব থাকবে না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে এ বিষয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। চলতি মাসেই পাহাড়ের রাজনীতিতে নাম জুড়েছে অনীত থাপা গঠিত ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম)-র। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে বার বার ফোন করা হলেও তা ধরেননি অনীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন