ভোটার তালিকায় ‘মৃত’, ক্ষুব্ধ তপতীরা

তাঁরা সকলেই দিব্যি বেঁচে-বর্তে রয়েছেন। করছেন দৈনন্দিন কাজও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় তাঁরা ‘মৃত’। তালিকা দেখে আঁতকে উঠেছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫০
Share:

তাঁরা সকলেই দিব্যি বেঁচে-বর্তে রয়েছেন। করছেন দৈনন্দিন কাজও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় তাঁরা ‘মৃত’। তালিকা দেখে আঁতকে উঠেছেন তাঁরা।

Advertisement

রায়গঞ্জ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার ১৩ জন বাসিন্দার সঙ্গে ঘটেছে এ রকমই ঘটনা। এঁদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৮ জন মহিলা। তাঁদের অভিযোগ নতুন তালিকা তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করা হয়নি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা রাজু নুনিয়ার নাম সেখানকার ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি তো অন্য ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য আবেদনই করিনি। তাহলে কেন এমন হল?’’ ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রশাসনের গাফিলতির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক আয়েশা রানি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গাফিলতি প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

গত নভেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশনের তরফে জেলা জুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন। তালিকা অনুযায়ী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ভোটার রয়েছেন ২৮১৪ জন। এর মধ্যে ৬৭ জন নতুন ভোটার। ওই ভোটার তালিকায় সুজয় কর, মায়া চৌহান, উমা চন্দ, ঝর্ণা দাস, সঙ্গীতা দাস, বিশ্বঙ্কর পাল, উষা চহ্বান, কমল পাল, তপতী সরকার, চন্দন সাহা, রাকেশ সাহা, পূর্ণিমা রাজভর ও লক্ষ্মী রায় নামে ১৩ জন জীবিত বাসিন্দাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকা সংশোধনের সময় ওই বাসিন্দাদের ফের হয়রানির মুখে পড়তে হবে আশঙ্কা করছেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আদেশ মাহাতো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন