তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের পুত্রকে খুনে ধৃত আরও দু’জন। তাঁদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
যুব তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। ওই সময় আততায়ীরা যে বাইকে করে গিয়েছিলেন, সেটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
গত ৯ অগস্ট মাংস কিনতে গিয়ে কোচবিহার-২ ব্লকের ডোডেয়ার হাটে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন অমর রায়। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের পুত্র তথা যুব তৃণমূল নেতার খুনে পরিবারের দাবি, নেপথ্য বিরোধীরা থাকতে পারে, যুক্ত থাকতে পারেন শাসকদলের কোনও নেতাও। সে নিয়ে শোরগোলের মধ্যে তিন জনকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলার তোপসিকাথা এলাকা থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি বাইক এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে বিনয় রায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দু’দিন আগে অরুণাচল প্রদেশ থেকে কিশোর বর্মণ এবং নারায়ণ বর্মণ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে আনা হয় কোচবিহারে।
কোচবিহার জেলা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার যে দু’জনকে ধরা হয়েছে, তাঁদের বাইকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গুলিকাণ্ডের দিনও ওই বাইকটি নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। অরুণাচল থেকে যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বাড়িও কোচবিহারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মরানদীর কুঠি এলাকা থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ধৃতদের প্রত্যেকের নামেই পুলিশের খাতায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। আবার খুন হওয়া অমরেরও ‘ক্রিমিনাল হিস্ট্রি’ ছিল। আর কিছু দিনের মধ্যে খুনের কারণ এবং মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা।