পরিদর্শন: আলিপুরদুয়ারে নতুন সিএমওএইচ অফিসে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রাখার জায়গা দেখছেন সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা। ছবি: নারায়ণ দে
দিনে রাতে সব সময় পাহারায় থাকবেন সশস্ত্র পুলিশকর্মী। বাইরের কারও প্রবেশ রুখতে মূল গেটেও ২৪ ঘণ্টার জন্য থাকবেন নিরাপত্তারক্ষী। যে কোনও জায়গায় বসেই সিসিটিভি ক্যামেরায় যখন-তখন নজরদারি চালাবেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। করোনার প্রতিষেধক নিয়ে নিরাপত্তার এমনই কড়া ব্যবস্থা আলিপুরদুয়ারে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে পুলিশের কনভয় নিয়ে ভ্যাকসিন ভ্যান-সহ করোনার প্রতিষেধক পৌঁছবে জেলায়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা দেশের সঙ্গে শনিবারই আলিপুরদুয়ার জেলায় করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রথম দিন আটটি জায়গায় এই প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে শুরুতে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। কিন্তু রাজ্য থেকে নির্দেশ আসার পরে শুরুর দিনে প্রতিষেধক চারটি জায়গায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, জেলার মোট ২৪টি জায়গাকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে। শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল, ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতাল, যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ও কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য আলিপুরদুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১১ হাজার জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার থেকে মূলত তাঁদেরই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সে জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সাড়ে বারো হাজার প্রতিষেধক আলিপুরদুয়ারে চলে আসবে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিষেধক আনতে বৃহস্পতিবার সকালেই আলিপুরদুয়ার থেকে একটি ভ্যাকসিন ভ্যান শিলিগুড়িতে যাবে। সেখান থেকে পুলিশের কনভয় সহযোগে সেই ভ্যান প্রতিষেধক নিয়ে আলিপুরদুয়ারে ফিরবে।
আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ের প্রতিষেধকের জন্য জেলায় সব ধরণের প্রস্তুতির কাজ সেরে ফেলা হয়েছে।’’ স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন অফিসের ‘ওয়াক ইন কুলারেই’ প্রথম প্রতিষেধক মজুত করা হবে। পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে সেখানে কয়েকটি আইএলআরও রাখা হচ্ছে। প্রতিষেধকের পাহারায় নতুন স্বাস্থ্য দফতরের মূল গেটে নিরাপত্তারক্ষী ও যে ঘরে প্রতিষেধক রাখা হবে তার বাইরে সব সময়ের জন্য দু’জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবেন। স্বাস্থ্য দফতরের দুজন করে কর্মীও সর্বক্ষণের জন্য সেখানে থাকবেন। এ ছাড়া বাইরে ও ভিতরে নজরদারির জন্য থাকছে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা।