সোনার হার ছিনতাই এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্নার মায়ের!

ভরসন্ধ্যায় এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মনের মায়ের গলা থেকে সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৪
Share:

আতঙ্কিত: ফোনে মেয়ে স্বপ্নার সঙ্গে কথা বলছেন বাসনাদেবী। শনিবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

ভরসন্ধ্যায় এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মনের মায়ের গলা থেকে সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড়ের ঘটনা। বাজার করতে গিয়েছিলেন স্বপ্নার মা বাসনাদেবী। এশিয়াড খেলে মেয়ে বাড়ি ফিরবে। তাই কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বাসনাদেবী এবং তাঁর বোন। দু’জনে স্কুটিতে ছিলেন। বাসনাদেবীর বোন কল্পনা রায় স্কুটি চালাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সুনসান রাস্তায় দুটি নম্বর প্লেটহীন বাইকে চেপে চার যুবক তাঁদের পিছু নেয়। বাসনাদেবীর গলায় সোনার হার দেখে, হ্যাঁচকা টানে সেটি ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীদলটি। ঘটনাস্থলেই বাসনাদেবী স্কুটি থেকে পড়ে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন। আশেপাশের বাসিন্দারাই এসে তাঁদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠান। নিরাপত্তার জন্য স্বপ্নার বাড়ির সামনে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। বাসনাদেবীর সঙ্গে একজন দেহরক্ষী থাকবেন বলে জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।

এই ঘটনার পরেই আলোড়ন পড়ে জলপাইগুড়ি জুড়ে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি যান স্বপ্নাদের বাড়িতে। বাসনাদেবীর থেকে পুরো ঘটনা শুনে পুলিশ সুপার বলেন, “স্বপ্নার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আমরা ওঁর যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, মোটরবাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীদের মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা ছিল। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

মায়ের থেকে ঘটনার খবর পেয়েছেন স্বপ্নাও। খবর পেয়েই বাসনাদেবী কেমন আছে জানতে চেয়ে স্বপ্না ভিডিয়ো কল করেন। মায়ের হাত পা ছড়ে যাওয়া দেখে কেঁদে ফেলেন স্বপ্না। মেয়েকে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বাসনাদেবীও। আতঙ্কিত স্বপ্নাও। কলকাতা থেকে স্বপ্না বাসনাদেবীকে বলেন, ‘মা ভয় পেও না। শিগগিরই বাড়ি যাচ্ছি।’

পরিজনেরা জানান, বাজার করার পরে ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন স্বপ্নার মা এবং মাসি। ফেরার পথে কালিয়াগঞ্জ এলাকায় জলপাইগুড়ি দিক থেকে বাইক দুটি স্কুটির সামনে গিয়ে গতি কমিয়ে দেয়। বাসনাদেবী কিছু বোঝার আগেই তাঁর গলার হার ছিনিয়ে সোজা রংধামালির দিকে রওনা দেয় তারা।

বাসনাদেবী বলেন, ‘‘আমার খুব ভয় করছে। এত লোক প্রতিদিন বাড়িতে আসছে। কার মনে কী অভিসন্ধি আছে বুঝতে পারছি না। নিশ্চয়ই অনেক আগে থেকেই আমাদের পিছু নিয়েছিল। ক’দিন পরে মেয়েটা আসবে ওর যেন কোনও ক্ষতি না হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন