ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করা হয়। নিজস্ব চিত্র
টাকা ও অলঙ্কার চুরির চেষ্টা হল রায়গঞ্জ শহরের আশা টকিজ মোড় এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। সোমবার সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাহকদের মধ্যে। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ব্যাঙ্কের সাফাইকর্মীরা ব্যাঙ্কে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্কের পিছনের জানালার লোহা কেটে ভিতরে ঢুকেছিল। অভিযোগ, গ্যাস কাটার দিয়ে লকার ও ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করেছিল তারা। তবে সেই কাজে সফল হয়নি দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, পালানোর সময় ব্যাঙ্কের সিসিটিভি রেকর্ডিং স্টোরেজ সিস্টেম ডিভাইসটি চুরি করে পালায় তারা। ফলে তদন্তে নেমে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের আসবাবপত্র লন্ডভন্ড করার পাশাপাশি ইন্টারনেট, সাউন্ড সিস্টেম ও অ্যালার্মের তারও ছিড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
জানা গিয়েছে, ওই রাতে ব্যাঙ্কে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। যার জেরে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রাহকেরা। চুরির কথা জানাজানি হতেই গ্রাহকদের একাংশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাঁদের গচ্ছিত টাকা ও অলঙ্কার সুরক্ষিত রয়েছে কি না। তখনই কর্তৃপক্ষ তার উত্তর দিতে পারেননি, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকেরা। প্রায় আধঘণ্টা পর ব্যাঙ্কের তরফে টাকা ও অলঙ্কার সুরক্ষিত রয়েছে বলে দাবি করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে কোনও রাতে নিরাপত্তারক্ষী থাকে না। ফলে চুরির ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। যদিও ওই ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার ফণিভূষণ কুমারের দাবি, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় রাতে ব্যাঙ্কে কোনও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়নি।’’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রায়গঞ্জের বিধাননগরে বাইক চুরি, মন্দির থেকে অলঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ক’দিন আগেই মধ্যমোহনবাটিতে এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শহরে পরপর চুরির ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন বাসিন্দারা।
উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের দাবি, ‘‘গত দেড়মাস ধরে রায়গঞ্জ থানায় কোনও স্থায়ী আইসি নেই।’’ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় শহরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর।