সন্তান না হওয়ার কারণে এক বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় মালদহ জেলার পুকুরিয়া থানার পলাশবনা গ্রামের ঘটনা। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে গিয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযোগ পেয়ে পাকেই বধূর শ্বশুর ও শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বধূর নাম সুফিয়া বিবি। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর কাজল শেখ। তাঁর বাবা তামিজ উদ্দিন ও মা সেতারা বিবিকে বুধবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের হেফাজতে রাখার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে রতুয়ার বাহারালের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুল বাসিরের একমাত্র মেয়ে সুফিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় পুকুরিয়ার পলাশবনার কাজলের। বিয়ের সাত-আট মাস পর থেকেই সুফিয়ার উপরে অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। প্রথম দিকে টাকা পয়সা নিয়ে অত্যাচার চালানো হত। দুই পরিবার আলোচনায় বসে একাধিকবার সমস্যা মিটিয়েছে। সম্প্রতি সন্তান কেন হচ্ছে না প্রশ্নে সুফিয়াকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। গত সোমবার রাত ৮টা নাগাদ সুফিয়ার চিৎকারে পড়শিরা ছুটে গিয়ে দেখেন, তিনি জ্বলছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। ততক্ষণে স্বামী-শুশুর-শাশুড়ি পালিয়ে যান বলে পুলিশের দাবি। পরে বধূর অবস্থা গুরুতর বুঝে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা স্থানান্তরিত করেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সুফিয়ার বাবা আব্দুল বাসির পুকুরিয়া থানায় কাজল শেখ সহ তাঁর বাবা মায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই পুলিশ কাজলকেও দ্রুত গ্রেফতার করুক।’’