অন্তরা-ছায়া এখন ভরসা জন্মনিয়ন্ত্রণে

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার পরে রাজ্যের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি মালদহ এবং মূর্শিদাবাদ জেলায়। মালদহে এই হার ২১.২ এবং ২০.৭ মুর্শিদাবাদে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০২:৪০
Share:

সচেতনতা প্রচার। নিজস্ব চিত্র

‘ছায়া’ এবং ‘অন্তরা’ই উত্তর দিনাজপুর জেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণে প্রধান ভরসা স্বাস্থ্য দফতরের। ‘ছায়া’ গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট। ‘অন্তরা’ গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বেশি উত্তর দিনাজপুরে। রাজ্যে যেখানে সার্বিক ভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি হাজারে ১৬.১, সেখানে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই হার ২৩.৭। এই পরিসংখ্যান ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ‘অন্তরা’ এবং ‘ছায়া’কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার পরে রাজ্যের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি মালদহ এবং মূর্শিদাবাদ জেলায়। মালদহে এই হার ২১.২ এবং ২০.৭ মুর্শিদাবাদে।

গত ১১ জুলাই থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় পক্ষকালব্যাপী জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে সচেতনতার প্রচারে একাধিক শিবির, র‌্যালি, স্কুলস্তরে উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ, প্রদর্শনী, ট্যাবলো বার করা হয়েছে। এখন সরকারি প্রকল্পের গর্ভনিরোধকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং গর্ভনিরোধক দেওয়া হচ্ছে।’’ জেলায় মোট ৩৪৪টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে দু’জন মহিলাকে ‘অন্তরা’ এবং পাঁচজন মহিলাকে ‘ছায়া’ নেওয়ায় রাজি করানোর লক্ষ্যামাত্রা স্থির করা হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণের এই দুই সরকারি প্রকল্প এ রাজ্যে নতুন চালু হয়েছে।

Advertisement

এই প্রকল্পে উত্তর দিনাজপুরের নোডাল অফিসার তথা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-৩ শ্যামল বিশ্বাস জানিয়েছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জেলার মহিলাদের একাধিক প্রকল্প এবং পদ্ধতির বিষয়ে জানানো হচ্ছে। তার মধ্যে নতুন পদ্ধতি ছাড়াও ‘কপারটি’, ‘লাইগেশন’, পুরুষদের ‘ভ্যাসেকটমি’, জন্মনিরোধক ব্যবহার, জরুরি ভিত্তিতে খাওয়ার ওষুধ, নিয়মিত খাওয়ার ওষুধ প্রভৃতি বিষয়েও জানানো হচ্ছে। পছন্দমতো তাঁরা যে কোনও পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন। পক্ষকালের এই জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে অন্তত ৭০০ জনকে ‘অন্তরা’ নেওয়ায় রাজি করানো, অন্তত ৫০০ জনের ‘লাইগশন’ করানো এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু অন্তত একজনের ‘ভ্যাসেকটমি’ করানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পনেরো দিনের পরেও একইভাবে বছরভর চলবে জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন