গৌরীবালা দাস। নিজস্ব চিত্র
৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট থানার চকভৃগু এলাকার ঘটনা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বৃদ্ধা গৌরীবালা দাস দু’দিন ধরে বিবাহিতা মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে পালা করে থাকছেন। কিন্তু তিনি নিজের বাড়িতেই থাকতে চান এই দাবি করে এ দিন তিনি বালুরঘাট থানায় ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চকভৃগুর বাসিন্দা বিধবা গৌরীবালার দুই ছেলে তিন মেয়ে। বৃদ্ধার বড় ছেলে ও আরও দুই মেয়ে অন্য জায়গায় থাকেন। এক মেয়ে বালুরঘাটের চকভবানীর বাসিন্দা। বৃদ্ধা ছোট ছেলে নিতাইয়ের সঙ্গে নিজের বাসভবনেই থাকেন। ছোট ছেলে নিতাই পেশায় লরি চালক। দু’দিন আগে ছোট ছেলে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেয় বলে বৃদ্ধার অভিযোগ। এর পরে তিনি চকভবানীর বাসিন্দা মেজ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
এ দিন গৌরীবালা জানান, বড় ছেলের প্রতি মাসে দেওয়া ৪০০ টাকা এবং বার্ধক্যভাতার ৭০০ টাকায় কোনও মতে চলে। ছোট ছেলে নিতাই বিয়ে করেনি। প্রায়শই রাতে নেশা করে এসে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে মারধর করে ছোট ছেলে বাড়ি থেকে বার করে দেয় বলে বৃদ্ধার অভিযোগ।
এ দিন বিচার চেয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করে ওই বৃদ্ধা ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত নিতাই মাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর মা দিদিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মারধরের অভিযোগ করেছেন বলে তাঁর দাবি।
গৌরীবালা বলেন, ‘‘তাঁর অবর্তমানে ওই বাড়ি ছেলে-মেয়েরা পাবে। অথচ ছোটছেলে বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে মারধর করে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।’’ বালুরঘাট থানার পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।