বালুরঘাট পুরসভা

দলনেত্রীর বার্তায় পুরপ্রধান বালুরঘাটে

বৃহস্পতিবারই কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, দলে গোষ্ঠীকোন্দল তিনি মেনে নেবেন না। সেই বার্তারই অভিঘাতে প্রায় ৮ মাস ধরে ফাঁকা ফেলে রাখা বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ পূর্ণ করা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৫১
Share:

রাজেন শীল

বৃহস্পতিবারই কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, দলে গোষ্ঠীকোন্দল তিনি মেনে নেবেন না। সেই বার্তারই অভিঘাতে প্রায় ৮ মাস ধরে ফাঁকা ফেলে রাখা বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ পূর্ণ করা হল।

Advertisement

পুরপ্রধান হলেন ভাইস চেয়ারম্যানই। শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলা নেতা বিপ্লব মিত্র, শঙ্কর চক্রবর্তী, বাচ্চু হাঁসদাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলারেরা। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেন শীলকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। তৃণমূল জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর অনুগত রাজেনবাবু দলের অধিকাংশ কাউন্সিলরকে নিয়ে গত প্রায় ৮ মাস ধরে পুরসভা চালানোর ফলে চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনও নাম উঠে আসেনি বলে দল সূত্রের খবর। এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের উপর চেয়ারম্যান মনোনয়নের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সর্বসম্মতিতে রাজেনবাবুকে চেয়ারম্যান নিয়োগে রাজ্য নেতৃত্ব অনুমোদন করেন।’’

তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহার মৃত্যুর পর প্রায় ৮ মাস কেটে গেলেও কে চেয়ারম্যান হবেন, তা নিয়ে দলীয় কাউন্সিলারদের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে বিধানসভা ভোট এসে পড়ায় চেয়ারম্যান নিয়োগ করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক তা চাননি পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা বালুরঘাটের প্রার্থী শঙ্কর চক্রবর্তী। কেননা বালুরঘাট পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টিতে জিতে তৃণমূল আরএসপির হাত থেকে বোর্ডের দখল নেয়। ১১টি ওয়ার্ডে জেতে বামেরা। চয়নিকাদেবীর মৃত্যুর পরে চেয়ারম্যান পদে বসা নিয়ে তৃণমূলের ১৩টি বনাম বামেদের ১১টি আসনের সমীকরণ নিয়ে কাউন্সিলারদের মধ্যে ওলট-পালটের ছক কষা শুরু হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়ভাবে পুরবোর্ডের সভা করে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ভরসা পাননি দলীয় নেতৃত্ব। পাছে বামেদের সমর্থন নিয়ে দলের অন্য গোষ্ঠীর কাউন্সিলর চেয়ারম্যান হয়ে যান, তাই বল রাজ্য নেতৃত্বের কোর্টে ঠেলে দিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। বালুরঘাটে শঙ্করবাবু হেরে যাওয়ার পর রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি ২১ জুলাই পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখেন।

Advertisement

এক দিকে প্রয়াত চয়নিকাদেবীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও উপনির্বাচন করা যায়নি। অন্য দিকে, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ভাইস চেয়ারম্যান রাজেনবাবুকে দিয়েই পুরসভা চালানো হচ্ছিল। এতে পুরআইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বিরোধী বাম কাউন্সিলেরা বহু বার আপত্তি জানিয়ে বোর্ড মিটিং বয়কট করেন। রাজেনবাবু বলেন, ‘‘বালুরঘাটে ফিরে ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করা হবে।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement