Bamangola

বিজেপি সাংসদ খগেন-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা! অভিযোগ, থানা ভাঙচুরের

গত ১৬ জুলাই বামনগোলা ব্লকের মদনাবতি কয়নাদিঘি গ্রামে বিজেপি কর্মী বুরন মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, বুরনকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে বিপ্লব মুর্মু। বিপ্লবের স্ত্রী তৃণমূল প্রার্থী হন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বামনগোলা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৬:১০
Share:

বিজেপি বিধায়ক জোয়েল মুর্মু এবং বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (বাঁ দিক থেকে) —ফাইল চিত্র।

মালদহে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে পথে নেমেছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক জোয়েল মুর্মুরা। তাঁদের বিরুদ্ধে থানা ঘেরাও, ভাঙচুর, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করল বামনগোলা থানার পুলিশ। সাংসদ, বিধায়ক-সহ বিজেপির ২০ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এই মামলায় পুলিশের অভিযোগ, গত ১৭ জুলাই বিক্ষোভ দেখাতে এসে নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করেছেন তাঁরা। এছাড়া কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে শারীরিক ভাবে হেনস্থারও অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই মামলাকেও শাসকদলের ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে বিজেপি। অন্য দিকে, তৃণমূলের টিপ্পনী, অনৈতিক কাজ করলে পুলিশ প্রশাসন তো ব্যবস্থা নেবেই।

Advertisement

গত ১৬ জুলাই বামনগোলা ব্লকের মদনাবতি কয়নাদিঘি গ্রামে বিজেপি কর্মী বুরন মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, বুরনকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে বিপ্লব মুর্মু। বিপ্লবের স্ত্রী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন এবং নির্বাচনে পরাজিত হন। বিজেপির অভিযোগ, তার পরে এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি হত। তৃণমূল পরিবারের মধ্যে ঢুকে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দলের ওই প্রবীণ কর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁর ছেলে এবং স্ত্রী মিলে খুন করেছেন। যে হেতু শর্মিলা মাড্ডি (বিপ্লবের স্ত্রী) তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন, বদলা নিতেই বুরনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ যদিও সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এটা পারিবারিক বিবাদ। রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আটক হন ওই তৃণমূল প্রার্থী। এর পর ১৭ মে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব। নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করেন খগেনরা।

এখন পুলিশের অভিযোগ, ওই দিন বিধায়ক-সাংসদদের উপস্থিতিতে পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর হয়। বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তীর দিকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। ওই ঘটনায় উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন, হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হেনস্থা, সরকারি কাজে বাধা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদেক বিরুদ্ধে।

Advertisement

এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ খগেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর সংযোজন, ‘‘পুলিশ যদি পারে আমাদের জেলে ভরুক। কিন্তু আন্দোলন থামবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন