বাংলাদেশি সন্দেহে মালদহে গ্রেফতার হয়েছেন এক যুবক। —প্রতীকী চিত্র।
আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। নাম হৃদয় মিঞা। কিন্তু নাম বদলে ভারতে ছিলেন প্রায় ৫ বছর। এখানে তিনি পুনীত সিংহ নাম নেন। কাজ এবং বাস ছিল বেঙ্গালুরুতে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ওই বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করল মালদহের ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় সেজে ওই যুবক বেঙ্গালুরুতে কাজ করতেন কয়েক বছর ধরে। বছর পাঁচেক আগে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকেন তিনি। হৃদয়ের আসল বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকায়। সেখানকারই নাগরিক তিনি। ভিন্রাজ্যে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ধরপাকড় শুরু হতেই কর্নাটক থেকে পালিয়ে আসেন হৃদয়। তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহদিপুর দিয়ে বাংলাদেশের পালানোর সময় ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
শনিবার ওই যুবককে মালদহ জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা হচ্ছে বলে খবর।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ধৃত পাঁচ বছর আগে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জাল ভোটার কার্ড বানিয়ে বেঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজ করতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করেন মালদহ সীমান্ত দিয়ে। সেটাও বেআইনি ভাবে। সেই সময় ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।’’
অন্য দিকে, বাংলাদেশি গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ‘‘শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতে এ রাজ্যের মাটি ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ হয়।’’ পাল্টা তৃণমূলের দাবি, ‘‘সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিএসএফের। আর যে বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে তাকে এ রাজ্যের পুলিশি গ্রেফতার করেছে।’’