রড কেটে দড়ি বেয়ে পালাল বন্দি

পুলিশ জানিয়েছে, সফিকুলের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পশ্চিম কামারডাঙা গ্রামে। হাওড়া জিআরপির একটি চুরির মামলাতেও অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। গত, ৯ মার্চ তাঁকে মালদহ জেলা সংশোধনাগার থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

পালানোর রাস্তা দেখছেন পুলিশকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালের পুলিশ সেলের শৌচাগারটির জানলাগুলোর বেহাল দশা। গত জুনেই ওই জানলা ভেঙে পালান তিন বিচারাধীন বন্দি। তারপরেও জানলা সারানো হয়নি। আর তা খেয়াল করেছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক সফিকুল ইসলাম। মালদহ, গাজল সহ হাওড়া, কলকাতায় একাধিক চুরির ঘটনার জড়িত সফিকুল সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ সেই রডই ভেঙে দড়ি বেয়ে দোতলা থেকে নেমে পালিয়েছেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে বারবার করে বন্দি পালানোর ঘটনায় তাই পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সফিকুলের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সফিকুলের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পশ্চিম কামারডাঙা গ্রামে। হাওড়া জিআরপির একটি চুরির মামলাতেও অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। গত, ৯ মার্চ তাঁকে মালদহ জেলা সংশোধনাগার থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় মালদহ টাউন স্টেশনে পেটে যন্ত্রণা, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সফিকুল। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ সেলে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকেই সেলেই ছিল সফিকুল। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন ভোর তিনটে নাগাদ শৌচাগারে যান তিনি। জোরে কল চালিয়ে দেওয়া হয়। সেই শব্দের আড়ালে শৌচাগারের জানলার দু’টি লোহার রড ভেঙে দড়ি বেঁধে দোতলা থেকে নীচে নেমে সফিকুল পালান।

প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে লম্বা দড়ি বা লোহার রড কাটার যন্ত্র মিলল? সেলের টহলরত পুলিশকর্মীদের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দায়িত্ব থাকা তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “ঘটনার সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন