প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখছে এসপিজি। —নিজস্ব চিত্র।
কোথাও ‘তিরঙ্গা যাত্রা’র ছবি, তো আবার কোথাও যুদ্ধবিমানের পাইলটের পোশাক পরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবির কাটআউট! শুধু তা-ই নয়, রেলের টিকিটেও মোদীর ছবি দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য বার্তাও দেখা গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এমনই সব ছবি ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে। মাসের শেষে মোদীর বঙ্গ সফর কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব আলিপুরদুয়ারে। খাতায়কলমে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন এক বছরেরও কম সময় বাকি। তার আগে মোদীর সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সামনে রেখে বিজেপির প্রচার নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোটের বাক্সে ফায়দা তুলতে এ বার কি সেনাবাহিনীর বীরগাথাকে কাজে লাগানো হবে? যদিও বিজেপির কাছে মোদীর এই সফর উত্তরবঙ্গের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ!
মোদীর জনসভার জন্য সেজে উঠছে আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ড। সভার পাঁচ দিন বাকি থাকলেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। একই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে ব্যস্ততাও চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীর সভার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্যারেড গ্রাউন্ডের চারপাশে কোথায় কী থাকছে, কোথায় হবে সভার প্রবেশ পথ, বাইরে যাওয়ার বন্দোবস্তই বা কী— সব কিছু খতিয়ে দেখে নিচ্ছে স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ২৯ মে আলিপুরদুয়ারের পাশাপাশি সিকিমেও জনসভা রয়েছে মোদীর। সিকিমের সভার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বায়ু সেনাকেও। তবে আলিপুরদুয়ার নাকি সিকিম— মোদীর কোন সভা আগে হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও বিজেপির একাংশের মতে, সিকিমের সভা সেরে বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এ ব্যাপারে তাঁর দফতর থেকে এখনও কোনও সূচি ঘোষণা করা হয়নি। মোদীর সভার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা থেকে শুরু করে বিধায়ক এবং জেলা নেতৃত্বের ব্যস্ততা তুঙ্গে। শুধু আলিপুরদুয়ার নয়, পাশের জেলাগুলির বিজেপি নেতৃত্বও মোদীর সফর নিয়ে একই ভাবে ব্যস্ত। মনোজ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্যারেড গ্রাউন্ডেই সভা হবে৷ এত বড় একটা কর্মসূচি সকলকেই মিলেমিশে করতে হবে৷’’ রাজ্য সরকারের সহযোগিতার কথাও শোনা যায় বিজেপি সাংসদের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন আলিপুরদুয়ার স্তব্ধ হয়ে যাবে৷ অঘোষিত বন্ধ হবে জেলায়। কেউ বাড়িতে থাকবেন না, সকলেই চলে আসবেন এই প্যারেড গ্রাউন্ডে।’’ রাজ্য বা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মনোজ বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ বা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছে৷ তারা অবশ্যই সাহায্য করবে। আমরা একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’’