বিএসএফ জওয়ানও প্রহৃত

বিএসএফ জওয়ান বলেন, “কতবার চেঁচিয়ে বললাম আমার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। বিএসএফে কাজ করি তাও মারল। ভোট নিয়ে এমন হতে পারে তার কোনও ধারণাই ছিল না।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:১০
Share:

হামলা: ময়নাগুড়ির আবাসস্থলিতে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

বিরোধীদের মনোনয়ন ঠেকাতে মারমুখী শাসকদলের কর্মীদের হাত থেকে বিএসএফ জওয়ানও রেহান পেলেন না বলে অভিযোগ ময়নাগুড়িতে। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন সকাল থেকেই ময়নাগুড়ির বিডিও অফিস তৃণমূলের কর্মীরা ঘিরে রেখেছিলেন বলে বিজেপির অভিযোগ। বেছে বেছে বিজেপির প্রার্থীদের ভিতরে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। গোলমাল থামাতে পুলিশ এবং র‌্যাফও মোতায়েন থাকলেও তারা নীরব দর্শকই ছিলেন। এ দিন দুপুরে এক নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁকে আটকানো হয় বলে দাবি। সে সময়ে বিডিও অফিসে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান। তাঁকেও ঘিরে ধরে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। বিএসএফ জওয়ান বলেন, “কতবার চেঁচিয়ে বললাম আমার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। বিএসএফে কাজ করি তাও মারল। ভোট নিয়ে এমন হতে পারে তার কোনও ধারণাই ছিল না।”

Advertisement

তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের কোনও কর্মী ব্লক অফিসের সামনে কাউকে বাধাও দেয়নি। কাউকে মারধরও করা হয়নি। তা হলে কারা মারধর করল? তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিরোধীরা নিজেরাই মারধর করে শাসক দলের বদনাম করতে চাইছে। সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে তারা।

ময়নাগুড়ি ব্লক অফিসে এ দিন বাং এবং কংগ্রেস কয়েকটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেও বিজেপির কেউ মনোনয়ন দেয়নি। বিজেপির দাবি, শুধুমাত্র তাঁদেরই আটকানো হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরাই নিজেদের লোকেদের দিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা করিয়েছেন। বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ বলেন, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে বিরোধীরা সকলে বিজেপির পতাকার তলে জড়ো হয়েছেন। একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হলে হলে হেরে যাবে ভয় পেয়েই তৃণমূল নিজেরা বাম-কংগ্রেস সেজে প্রার্থী দিচ্ছে।” ময়নাগুড়ির সাপ্টিবাড়ি-চূড়াভান্ডার এলাকায় এ দিনও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে দাবি। একটি বাড়িতে আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তারপরেই তৃণমূল গ্রামে গ্রামে হামলা শুরু করে বলে দাবি।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ, রাতের বেলায় অন্তত চার ড্রাম কেরোসিন এবং পেট্রল গ্রামে জড়ো করে তৃণমূল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, বিজেপি বহিরাগতদের জড়ো করে বাড়ি-বাড়ি হামলা চালাচ্ছে।

জলপাইগুড়ি এবং রাজগঞ্জেও এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সদস্যরা মনোনয়ন দিতে গেলে দলেরই আরেকটি গোষ্ঠীর অনমুগামীদের সঙ্গে বচসা বাধে। পরে ওই প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। বিডিও অফিসে ঢোকার মুখে চার-পাঁচজন পুলিশ থাকলেও তারা কোনও সহযোগিতা করেননি বলে বিজেপির অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন