মিছিল রুখতে সশস্ত্র বাহিনী

বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দ্বীপেন প্রামাণিকের গাড়িতে এ দিন দুষ্কৃতীরা ঢিল ছুড়েছে বলে অভিযোগ। বিকেলে জলপাইগুড়ির কদমতলায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৯
Share:

পাহারা: রংধামালিতে বিজেপির মিছিল রুখতে সশস্ত্র বাহিনী। তৃণমূল জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা দায়ী নয়। নিজস্ব চিত্র

লাঠি, তির, ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বিজেপিকে আটকাতে সকাল থেকে জড়ো হয়ে থাকলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ির গোশালা মোড় থেকে মিছিল নিয়ে বারোপেটিয়ার পর্যন্ত যাওয়ার কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই মিছিল ঠেকাতে রংধামালির বাঁধে অপেক্ষায় ছিলেন সশস্ত্র তৃণমূলের কর্মীরা। পুলিশের বাধায় বিজেপির মিছিল অবশ্য বাঁধ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। তবে বিজেপির প্রশ্ন, তির-তলোয়ার হাতে তৃণমূল কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দ্বীপেন প্রামাণিকের গাড়িতে এ দিন দুষ্কৃতীরা ঢিল ছুড়েছে বলে অভিযোগ। বিকেলে জলপাইগুড়ির কদমতলায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেছিল বিজেপি।

Advertisement

বেশ কিছু দিন ধরেই বারোপেটিয়ায় দলের প্রার্থীদের ওপর হামলা চলছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কারও বাড়ি ভাঙা হয়েছে, কারও বেড়ায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন প্রার্থী ঘরছাড়া বলে দাবি বিজেপির। সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ দিন জেলা বিজেপির তরফে মিছিল করে বারোপেটিয়া যাওয়ার ঘোষণা করা হয়। সেই মতো গোশালা মোড়ে জড়ো হতে থাকে বিজেপি সমর্থকরা। বিজেপির জমায়েত শুরু হতেই বারোপেটিয়া গ্রামে ঢোকার রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হয়। তাঁদের হাতে তির-ধনুক, লাঠি এবং দা, তলোয়ার ছিল বলে অভিযোগ। বিরোধীদের ভয় দেখাতেই খোলা অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে বলে দাবি। কারও কারও এক হাতে তির অন্য হাতে দলের পতাকাও দেখা গিয়েছে। এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, “দিনে দুপুরে খোলা অস্ত্র হাতে শাসক দলের কর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ কিছু বলছে না।”

বারোপেটিয়ার তৃণমূলের বিদায়ী প্রধান কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে জমায়েত হয়েছিল বলে অভিযোগ। কৃষ্ণবাবুর পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরাই হামলা চালাতে বারোপেটিয়ায় আসার চেষ্টা করেছিল। তাঁদের আটকাতে সাধারণ বাসিন্দারাই জড়ো হয়েছিলেন।

Advertisement

এ দিন অবশ্য বিজেপির মিছিল কিছুটা এগোতেই পুলিশ আটকে দেয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মিছিল এগোলে অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সে কারণেই মাঝপথে মিছিল আটকানো হয়েছে। তা ছাড়া আগে থেকে মিছিলের অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে পুলিশের দাবি। অন্য দিকে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর অভিযোগ, “এখন ভোটে হারের ভয়ে শাসক দলের নেতারা অস্ত্র হাতে বিরোধীদের আটকাচ্ছে। পুলিশ নীরব থেকে সশস্ত্র কর্মীদেরই মদত দিচ্ছে।” পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অস্ত্র হাতে তৃণমূল সমর্থকদের জড়ো হওয়ার ছবি তুলে কমিশন এবং আদালতে নালিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন