ইসলামপুরে উদ্ধার বিহারের কিশোর

ইসলামপুরের কলেজপাড়া সংলগ্ন এলাকায় দিশাহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বছর ন’য়েকের এক বালক। তাকে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। এরপরেই দ্বিতীয় শ্রেণির এই ছাত্রকে উদ্ধার করে ইসলামপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১১
Share:

ইসলামপুরের কলেজপাড়া সংলগ্ন এলাকায় দিশাহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বছর ন’য়েকের এক বালক। তাকে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। এরপরেই দ্বিতীয় শ্রেণির এই ছাত্রকে উদ্ধার করে ইসলামপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রটির নাম মহম্মদ মাসুদ. তার বাড়ি বিহারের কিসানগঞ্জ এলাকায়। বিহার পুলিশ ও চাইল্ড হেল্প লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। এই থানার আধিকারিক মকসুদুর রহমান বলেন, ‘‘ পুরো বিষয়টি বিহার পুলিশকে জানানো হয়েছে। ওই বালকটির পরিবারের লোকের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১১ টা নাগাদ ওই ছাত্রটিকে ইসলামপুর শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এর পরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখনই সে নিজের নাম ঠিকানা জানায়।

ওই ছাত্র জানিয়েছে,তার বাবা পেশায় ভুটভুটি চালক। কিসানগঞ্জ এলাকাতে রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়েছিল সে। সেই সময় তার হাত ধরে কেউ তাকে ট্রেনে তুলে নেয়। মাসুদ বলে, সকাল প্রায় ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। রেললাইন পার করে উল্টোদিকে গিয়েছিলাম বিস্কুট খেতে। একটি ট্রেন দাঁড়িয়েছিল বল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ট্রেন দেখছিলাম। তার মধ্যেই এক যুবক হাত ধরে টেনে ট্রেনে তুলে নেয়। পরে ট্রেনটি চলতে শুরু করে। বাড়ির রাস্তা চিনতে না পারায় কান্নাকাটি করছিলাম।’’ তবে ওই বালকটির কথাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। এমনকি বিহারে তাঁর বাবা মায়ের কাছে যাতে তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে ওই বালকটি তারও চেষ্টাও চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন