কংগ্রেস দলনেতা বিমল

জলপাইগুড়ির পুরসভায় কংগ্রেস দলনেতা হলেন বিমল পালচৌধুরী। ২৫ আসনের পুরসভায় ১৯৯৫ সালের পরে এই প্রথম বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস। রবিবার থানা রোডের রাজীব ভবনে আয়োজিত সভায় সদ্য নির্বাচিত দলের কাউন্সিলরেরা বিমলবাবুকে পুরসভায় দলনেতা নির্বাচিত করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৫ ০৩:০৯
Share:

জলপাইগুড়ির পুরসভায় কংগ্রেস দলনেতা হলেন বিমল পালচৌধুরী। ২৫ আসনের পুরসভায় ১৯৯৫ সালের পরে এই প্রথম বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস। রবিবার থানা রোডের রাজীব ভবনে আয়োজিত সভায় সদ্য নির্বাচিত দলের কাউন্সিলরেরা বিমলবাবুকে পুরসভায় দলনেতা নির্বাচিত করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রাসাদ রায়, টাউন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তথা নির্বাচিত কাউন্সিলর পিনাকী সেনগুপ্ত। পিনাকীবাবু বলেন, “বিমলবাবুকে পুরসভায় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।”

Advertisement

২০১০ সালের নির্বাচনেও ১৬টি আসনে জয়লাভ করে পুরবোর্ডের দখল নেয় কংগ্রেস। এবার মাত্র পাঁচটি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দলকে। কেন এমন বিপর্যয় তা নিয়ে দলের অন্দরে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরভোটে বিপর্যয়ের কারণে দলের নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার। যদিও নির্মলবাবু ওই বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেন। টাউন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পিনাকীবাবু বলেন, “আমি কিছু জানি না।”

ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট গত পুরভোটের তুলনায় এবার কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক কমেছে। যদিও লোকসভার তুলনায় কিছু ভোট বেড়েছে। ২০১০ সালের পুরভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৪ হাজার ৩২৩ ভোট। এবার সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ ভোটে। অন্য দিকে তৃণমূলের ভোট বেড়েছ। ২০১০ সালের পুর ভোটে তৃণমূল পায় ১২ হাজার ১৫৭ ভোট। মাত্র একটি আসন দখল করে। এবার ভোট বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। ১৫ টি আসন দখল করে এককভাবে ওই দল পুর বোর্ড দখল করেছে। টাউন ব্লক কংগ্রেস সভাপতির দাবি, “২০১০ সালের পুর ভোটের পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ওই সময়ের হিসেব ধরে ফলাফলের বিশ্লেষণ করা ভুল হবে। ২০১৪ সালের জুন মাসে দলের ৯ জন কাউন্সিলার তৃণমূলে চলে যান। ওই পরিস্থিতিতে পাঁচটি আসনে জয়লাভ কম নয়।”

Advertisement

কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, লোকসভার তুলনায় শহরাঞ্চলে তাঁদের ৪ হাজার ৪৪৬ ভোট বেড়েছে। লোকসভায় পুর এলাকায় দলীয় প্রার্থী পেয়েছিলেন ১০ হাজার ২০০ ভোট। এবার পুরভোটে সেটা বেড়ে হয় ১৪ হাজার ৬৪৬। পুরসভার কংগ্রেস দল নেতা বিমলবাবু ১৪ নম্বর আসন থেকে জিতেছেন। বিমলবাবু ছাড়া নির্বাচিত কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে আছেন ১২ নম্বর আসনে বনো সরকার, ২২ নম্বর আসনে পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত, ২৪ নম্বর আসনে অম্লান মুন্সি এবং ২৫ নম্বর আসনে পরিমল মালোদাস। এদিনের সভায় প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন