গ্রামে বাইসনের তাণ্ডব, জখম ৩

সকালে ঘুম ভাঙার পর সবে ঘরের বাইরে উঠোনে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আচমকাই পিছন থেকে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাইসন। মাথাভাঙার ডুমরিগুড়ির বাসিন্দা কল্পনাদেবীকে গুরুতর জখম অবস্থায় কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৬
Share:

বন্য: হামলা চালায় এই বাইসনটি। নিজস্ব চিত্র

সকালে ঘুম ভাঙার পর সবে ঘরের বাইরে উঠোনে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আচমকাই পিছন থেকে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাইসন। মাথাভাঙার ডুমরিগুড়ির বাসিন্দা কল্পনাদেবীকে গুরুতর জখম অবস্থায় কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মাথায় ও পিঠে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

কেবল কল্পনাদেবী একা নন, এ দিন বাইসনের হামলায় গুরুতর জখম হন কোদালখেতি ও রুইবাড়ি গ্রামের দুই বাসিন্দা কোনেবালা বর্মন এবং নীলেশ্বর দেবসিংহ। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

সন্দেহ করা হচ্ছে, পাতলাখাওয়ার জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে প্রেমেরডাঙায় ঢুকে পড়ে দু’টি বাইসন। রাতে আর তারা জঙ্গলে ফিরতে পারেনি। সকালে বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বেরোতে দেখেই হামলা শুরু করে। প্রথমে ডুমরিগুড়ি গ্রামে তাণ্ডব চালায়। পরে বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে নিশিগঞ্জের কোদালখেতি ও রুইবাড়ি গ্রামে ঢুকে পড়ে।

Advertisement

ওই এলাকা বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বনমন্ত্রী। ঘটনাস্থলে যান বনবিভাগের কোচবিহার ডিভিশনের ডিএফও বিমান বিশ্বাস। বন দফতরের একটি দল প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় বাইসন দু’টিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করে। পরে তাদের চিলাপাতার জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বনমন্ত্রী বলেন, “ঘটনার কথা জানার পরে বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা সেখানে যান। দ্রুত বাইসন দু’টিকে কাবু করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। জখমদের চিকিৎসার খরচ বন দফতর বহন করবে।” বনমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায় আগেও একাধিকবার বাইসনের হামলা হয়েছে। তখনও পাতলাখাওয়া ও চিলাপাতার জঙ্গল থেকেই বাইসন লোকালয়ে ঢুকেছিল বলে জানিয়েছিল বন দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন