ঘরের পিছনেই বাজি, হুমকি উদয়নের

কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন উদয়ন। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ  আসার পরে গত সোমবার শিলিগুড়ি থেকে তিনি বাড়ি ফেরেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০৬:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

গৃহ নিভৃতবাসে থাকা রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক উদয়ন গুহের ঘরের পিছনে বাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উদয়ন নিজের ফেসবুক পেজে ওই ঘটনার কথা জানিয়েই বিজেপি সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দেন। যা নিয়ে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। উদয়ন এ দিন বলেন, ‘‘পরিকল্পনা করে আমার অসুবিধে করার জন্যেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর আমার বাড়ির পিছনে বাজি ফাটানো হয়েছে। বিজেপির কিছু কর্মী ওই কাজ করেছে। সেই কথাই লিখেছি।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “রামমন্দিরে ভূমিপুজো নিয়ে তৃণমূল নানা ভাবে সমস্যা তৈরি করেছে। সেইজন্যেই পূর্ণ লকডাউন করা হয় ওইদিন। এখন নানা মিথ্যে অভিযোগ তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।”

Advertisement

কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন উদয়ন। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে গত সোমবার শিলিগুড়ি থেকে তিনি বাড়ি ফেরেন। ওইদিন কোচবিহারের ঘুঘুমারি থেকে দিনহাটা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা কয়েক’শো বাইক ও গাড়ির র্যালি করে উদয়নকে নিয়ে দিনহাটায় পৌঁছন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। দলীয় সূত্রে খবর, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তার পর দু’সপ্তাহের জন্য গৃহ নিভৃতবাসে আছেন দিনহাটার বিধায়ক।

এ দিন উদয়ন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সোমবার শিলিগুড়ি থেকে এগারো দিন চিকিৎসার পর ফিরেছি, ডাক্তারবাবুদের পরামর্শানুযায়ী এখন ১৪ দিনের গৃহবন্দি দশা চলছে। আমার কারণে যাতে কারও বিন্দুমাত্র অসুবিধে না হয় সে জন্য নিজে ঘর থেকে বের হই না, কাউকে বাড়িতে আসতেও দিই না। কিন্তু কাল সন্ধ্যার পর থেকে দেখলাম, আমাকে উত্তেজিত করবার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আমার ঘরের পেছনে বাজি ফাটানো হল।’

Advertisement

এর পরেই তিনি লেখেন, ‘সবকিছু যদি ঠিক থাকে ১৭ অগস্ট সন্ধ্যার পর এই বাজিকরদের বাজি ফাটানোর শখ সুদে-আসলে মিটিয়ে দেব। প্রতিবেশী মাস্টারমশাই তৈরি থাকবেন।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন