উত্তর দিনাজপুর জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সন্ত্রাস করে জেতার চেষ্টা করবে। এই আশঙ্কা করে জেলার নয়টি ব্লকের দেড় হাজারেরও বেশি বুথে বুথরক্ষক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি! সোমবার রায়গঞ্জের মহাত্মা গাঁধী রোড এলাকার দলের জেলা কার্যালয়ে নয়টি ব্লকের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম। ওই বৈঠকে নির্মলবাবু আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলার ১৫৫০টি বুথে বুথরক্ষক কমিটি গঠন করে ফেলার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। নির্মলবাবুর দাবি, গত তিন মাসে জেলার ১৪০০ বুথে বুথরক্ষক কমিটি গঠন করার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৫০টি বুথে এক সপ্তাহের মধ্যে ওই কমিটি গঠনের কাজ শেষ করা হবে।
জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকের ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬৪৯টি আসন রয়েছে। নয়টি পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৮৭ ও জেলা পরিষদে ২৬টি আসন রয়েছে। বিজেপির দাবি, এখনও পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৫০, পঞ্চায়েত সমিতির ২২৮ ও জেলা পরিষদের সমস্ত আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে জেলার নয়টি ব্লকের বিডিও অফিসে দলের নেতা কর্মীরা মনোনয়ন তুলতে বা জমা দিতে গিয়ে তৃণমূলের কোনও সন্ত্রাস বা বাঁধার মুখ পড়লে তাঁদের পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্মলবাবুর দাবি, এ দিন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকল, অনন্তপুর, রাধিকাপুর, বোঁচাডাঙ্গা, বরুণা ও মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সংসদের ১১ জন বিজেপি কর্মী মনোনয়নপত্র তোলার জন্য কালিয়াগঞ্জের বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের দাবি, ‘‘রাজ্য সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের জোয়ারে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাই আগাম পরাজয় বুঝতে পেরে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে।’’