বিশ্ববিদ্যালয় চাই, দাবি এবিভিপি-র

লোকসভা ভোটের পরে থেকে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলছে বিজেপি। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাও এই দাবি তুলেছিলেন। এ বার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তোলা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা ভোটের পরে থেকে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলছে বিজেপি। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাও এই দাবি তুলেছিলেন। এ বার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তোলা হল। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে এই নিয়ে দরবার করা হবে বলে শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে। বিদ্যার্থী পরিষদের দাবি, উত্তরবঙ্গের সাংসদদের কাছেও এই একই আর্জি জানানো হবে। রাজ্যেপালের কাছে তাঁরা উত্তরবঙ্গের শিক্ষার পরিস্থিতি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা।

Advertisement

বিদ্যার্থী পরিষদের জাতীয় সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার পরিবেশ নেই। পরিকাঠামোরও বেহাল দশা। অনেক বিষয়ের শিক্ষক নেই। এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান করা হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগও হচ্ছে না। সেই বিষয়টিও রাজ্যপালকে জানান হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন।’’

বিদ্যার্থী পরিষদের দাবি, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, উত্তরবঙ্গের প্রাথমিক স্কুলগুলিরও বেহাল দশা। শিক্ষকের অভাব তো আছেই, স্কুলগুলিরও অনেক ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ঠিক নেই। এর পাশাপাশি পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তাঁরা দেওয়াল রঙ করবেন। মিড ডে মিল তো বটেই, স্কুলগুলির ছোটখাট সমস্যাও তাঁরা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এই ভাবে বাইরে থেকে কি স্কুলের কাজে হস্তক্ষেপ করা যায়? এর জবাব এড়িয়ে বিদ্যার্থী পরিষদের নেতারা জানান, প্রাথমিকভাবে কিছু স্কুলে তারা সেই কাজ শুরু করবে। পরে সমস্ত স্কুলে সেই পরিষেবা দেওয়া চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লিতে এবিভিপির রাষ্ট্রীয় কনভেনশন হয়েছে। সেখানেই এ রাজ্যের জন্য এবিভিপিকে এই বিষয়গুলি নিয়ে আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে, সংগঠন সূত্রে খবর। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবিভিপির এই দাবি লোক দেখান। ভোটের আগে তাঁরা সমস্যাগুলি দেখতে পান। ভোট ফিরিয়ে গেলে তাঁদের আর দেখা পাওয়া যায় না।

দার্জিলিঙের টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, ‘‘মনগড়া কথা বললেই তো হবে না। যারা এ সব বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা সম্পর্কে তাঁদের কতটা ধারণা রয়েছে, তাতে সন্দেহ আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন