পুলিশকে আক্রমণ, বিজেপি নেতা ধৃত

বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের বদলে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করেছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৩৩
Share:

দু’দলের সংঘর্ষে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে চার বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে ইটাহার থেকে জগাই দেবশর্মা, শ্যামল চৌধুরী, নিমাই সিংহ ও অজয় কর্মকার নামে ওই চার জনকে ধরা হয়।

Advertisement

বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের বদলে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করেছে।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, জগাই দলের বেতর বুথ সভাপতির দায়িত্বে। শ্যামল দলের ইটাহার বিধানসভার সংযোজক ও নিমাই দলের জেলা সহ সভাপতি। অজয় নহলিপুর বুথ কমিটির উপদেষ্টা। প্রথম দু’জনকে বুধবার রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক শতরূপা ঘোষ তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নিমাইকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অজয় সংঘর্ষে জখম হয়ে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে এ দিন আদালতে তোলা যায়নি।

অবশ্য এখনও তৃণমূল ও বিজেপির তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের বাড়িতে বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে তির, বোমা ও ইট ছুড়ে হামলা চালানোর অভিযোগও তিনি থানায় দায়ের করেননি। নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এ দিন দুপুরে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় থেকে বিদ্রোহী মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন বিজেপির কয়েকশো নেতা-কর্মী। মঙ্গলবার সিপিএম ও কংগ্রেসের সমর্থনে ১৩-১২ ভোটে জয়ী হয়ে ইটাহার পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির অশোক বর্মন। উপপ্রধান সিপিএমের ফিরোজা বিবি। এর পরেই বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ ১০ জন জখম হন। অমল বলেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যে রটাচ্ছে। পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement