কয়লা পাচারে অবশেষে গ্রেফতার সাহিন

বেআইনি ভাবে কয়লা মেশানো ও কয়লা পাচারের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল চোপড়ার বিজেপি নেতা সাহিন আখতারকে। চোপড়া থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৭
Share:

ধৃত: সাহিন আখতার

বেআইনি ভাবে কয়লা মেশানো ও কয়লা পাচারের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল চোপড়ার বিজেপি নেতা সাহিন আখতারকে। চোপড়া থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করে তাঁকে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘ধৃতকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’

Advertisement

চোপড়ার দলুয়া এলাকায় পেট্রল পাম্প সংলগ্ন একটি জমি রয়েছে সাহিন আখতারের। সেখানেই বেআইনি কয়লার কারবার চলত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সেখানে হানা দিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েকটি ট্রাক ও ছোট গাড়িও। তবে অধরা ছিলেন সাহিন আখতার। তাঁর খোঁজ চলছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সাহিন আখতারের নাম রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে ইসলামপুর থানা থেকে আদালতে পাঠানোর সময় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। পুলিশের দাবি, বাইরে থেকে নিম্নমানের কয়লা এনে তা মিশিয়ে সেই কয়লার কারবার চালাতেন সাহিন। আখতারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১১, ৪১৪, ৩৭৯, ৪২০, ৪৬৪, ৪৬৮, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সাহিনের আইনজীবী সৌমেন্দু মজুমদারের (বাবলু) দাবি, রাজনৈতিক কারণেই সাহিনকে ফাঁসানো হয়েছে. আদালতে সেসব তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এক সময় সাহিন আখতার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন সাহিন। তারপরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য সাহিন আখতার। কয়েক মাস আগে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ নাজিম আহমেদ খুনের ঘটনা ও আরও একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল।

Advertisement

সাহিনের দাবি, ‘‘ওই জমিতে আমি দু’বছরের চুক্তিতে ভাড়ায় দিয়েছি। আমি জড়িত নই।’’ পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ক হামিদুল রহমানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা সেখানে জোর দিয়েছি। তাই আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ যদিও বিধায়কের দাবি, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। নানা বেআইনি কাজে যুক্ত বলে তাঁকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।’’

যদিও সাহিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন। তিনি বলেন, ‘‘সাহিনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আগামীকাল সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনের কর্মসূচি জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন