Abhishek Banerjee

‘দেখে যান কী ভাবে রয়েছি’, অভিষেককে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন সেই পঞ্চায়েত প্রধান

মাথাভাঙায় অভিষেক বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মণের কী করেছে জানেন? তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে আগে কী করেছে জানেন?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:২৫
Share:

অভিষেকের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে প্রথমে নিজের স্বামীর নামে জব কার্ড করেছেন ঘোক্‌সাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মণ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

জেলার ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি মাত্র পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙার সভা থেকে তিনি অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে প্রথমেই নিজের স্বামীর নামে জব কার্ড করে দিয়েছেন মাথাভাঙা-২ ব্লকের ঘোক্‌সাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মণ। এমনকি, তাঁর স্বামী এবং কাকাশ্বশুরের নাম তুলেছেন আবাস যোজনার তালিকায়। অভিষেকের সভার ঘণ্টাদুয়েক পরেই তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ করলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে। কারণ, জেলায় এই একটি পঞ্চায়েতেই ‘সুবিধা’ করতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।

Advertisement

শনিবার মাথাভাঙার সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘‘২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পর কোচবিহারের ১২৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র একটি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল। মাথাভাঙা-২ ঘোক্‌সাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত।’’ অভিষেকের সংযুক্তি, ‘‘ওই পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মণ কী করেছে জানেন? তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে আগে কী করেছে জানেন? স্বামী রতন বর্মণের নামে জব কার্ড করেছেন। শুধু তাই নয় শ্বশুরের নামে বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। স্বামীর কাকার নামেও একটি বাড়ি আবাস তালিকায় নথিভুক্ত করিয়েছেন।’’

অভিষেকের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে দীপ্তি তাঁর টিনের বাড়ি দেখিয়ে বলেন, ‘‘দেখুন আমাদের বাড়ি এই রকম। আমার স্বামীর নাম আবাসের তালিকায় আছে। কিন্তু সেই তালিকার জন্য যে সার্ভে হয়েছিল, সেটা ২০১৮ সালের। পরে দেখলাম, তালিকায় আমাদের নামও আছে। এখন ১৬০টি বাড়ির তালিকা এসেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) ভুল বুঝিয়ে আমাদের ২ পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত দখল করতে না পেরে এখন বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছেন।’’ এর পর অভিষেকের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেখে যান আমার কিংবা আমার স্বামীর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স। দেখি নিন আমাদের জমির হিসেব। প্রমাণ না দেখিয়ে শুধু অভিযোগ করছেন ওঁরা।’’

Advertisement

দীপ্তির স্বামী রতন বলেন, ‘‘আমার ঘর দেখুন। ২০১৮ সালে তৃণমূল ছিল রাজ্যে। এখনও আছে। তখন একটা সার্ভে হয়েছিল। দেখেছিলাম, আমাদের নাম আছে। কিন্তু আমরা বিডিও সাহেবকে বলেছিলাম, আমাদের বাড়ি লাগবে না। ওঁরাই বলেছিলেন বাড়ির হাল খারাপ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন