বাছাই করে তবেই দলে

কেন এমন সিদ্ধান্ত? দলের কোর কমিটির এক সদস্যের কথায়, “তৃণমূলের এমন অনেক উচ্ছৃঙ্খল কর্মী রয়েছেন যাঁদের আমরা দলে নিতে চাই না।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০৫:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সদস্য হতে চেয়ে মিসড্ কল দিলেই নেওয়া হবে না দলে। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে নেওয়া হল এমনই সিদ্ধান্ত। এ দিন ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কারা মিসড্ কল দিচ্ছেন সেই তালিকা হাতে আসার পরে সেটি ঝাড়াই বাছাই হবে। সকলকে ডাকা হবে মিটিংয়ে। কারও সঙ্গে অন্য কোনও দলের সংস্রব রয়েছে কি না, থাকলে সেটা এখনও আছে কিনা সেসব খতিয়ে দেখে তবেই পাকাপাকি ভাবে বিজেপির খাতায় নাম তোলা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার নেতাদের একাংশ। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত নিজেদের মতো বদলে নেওয়া যায় কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। বিজেপির জেলা কমিটির দাবি, এ বিষয়ে রাজ্যের থেকে অনুমতি নিয়ে নেওয়া হবে।

Advertisement

কেন এমন সিদ্ধান্ত? দলের কোর কমিটির এক সদস্যের কথায়, “তৃণমূলের এমন অনেক উচ্ছৃঙ্খল কর্মী রয়েছেন যাঁদের আমরা দলে নিতে চাই না। মিসড্ কল দিয়ে তাঁরা যে কেউ সদস্য হতে পারেন। তাই আমরা জেলায় তালিকা ফের বাছাই করব। না হলে দলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।”

লোকসভা ভোটের পরে

Advertisement

রাজ্যের অন্য জেলার মতো জলপাইগুড়িতেও অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়। অন্য দলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতা-কর্মী অনেকেই নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তার জেরেই

জলপাইগুড়িতে দলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলে দাবি। জেলা পার্টি অফিসে দলেরই ঝান্ডা নিয়ে পরপর কয়েকদিন বিক্ষোভ হয়েছে। নতুন-পুরোনো সংঘাতে দলের সংগঠনের কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে বলেও অভিযোগ। সেই কারণে দলে যাঁরা নতুন আসছেন তাঁদের উপর ‘বিশ্বাস’ রাখতে পারছে না বিজেপির পুরনো নেতারা। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নানা সাংগঠনিক আলোচনাও হয়েছে।”

দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা রুখতে এ দিন বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে কোর কমিটির বৈঠক ছিল। বিজেপি নেতাদের দাবি এটা পদাধিকারী সভা। অর্থাত দলের জেলা কমিটি, শাখা সংগঠনের কমিটিতে যাঁরা পদে রয়েছেন তাঁদের বৈঠক। এক যুব পদাধিকারীর দাবি, নানা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত, অপরাধী, সমাজবিরোধী যারা এখন অন্য দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে, তারা হাওয়া বুঝে মিসড্ কল দিয়ে বিজেপিতে ঢুকতে চাইছে। যুব নেতার মন্তব্য, “তাদের উদ্দেশ্য সদস্যপদ নিয়ে বসে থাকা। আমরা তা হতে দেব না, কে কে সদস্য হয়েছে তাদের ডেকে হাতে স্লিপ দেব। সেই স্লিপ হবে দলে আসার পাকাপাকি ছাড়পত্র। যাদের পছন্দ হবে না স্লিপ দেব না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন