বিজেপির কর্মী ধৃত

ইটাহারের তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার ওরফে মাধুকে গুলি করে খুনে দুই অভিযুক্তকে নিউ জলপাইগুড়ি থানার এক বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই নেতার নাম অলক সেন। অলকবাবু পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপির প্রার্থী হন। অলকবাবু দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিরও সদস্য। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইটাহার ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

ইটাহারের তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার ওরফে মাধুকে গুলি করে খুনে দুই অভিযুক্তকে নিউ জলপাইগুড়ি থানার এক বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই নেতার নাম অলক সেন। অলকবাবু পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপির প্রার্থী হন। অলকবাবু দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিরও সদস্য।

Advertisement

ধৃতদের নাম সুবীর স্বর্ণকার এবং প্রদীপ দেবনাথ। রায়গঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে উদয়পুরের বাসিন্দা সুবীরই বিকাশবাবুর মাথায় গুলি করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। ইটাহারে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সুবীর বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। প্রদীপের বাড়ি উদয়পুর লাগোয়া চণ্ডীতলাতে। তিনি গাড়ির চালক।

পুলিশের দাবি, গত বছর ইটাহারের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন সুবীর। তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না অভিযোগে বিকাশবাবু সালিশি সভা ডেকেছিলেন, সেখানে সিদ্ধান্ত হয় টাকা ফেরত না দিলে সুবীরের চার চাকার গাড়ি ওই ব্যক্তিকে দিতে হবে। পুলিশের কাছে সুবীর দাবি করেছেন, তা নিয়ে বিকাশবাবু তাঁকে ধমকি, হুমকি দিচ্ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশবাবু এলাকার একটি ক্লাবের সম্পাদক। এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনেকেই তাঁর কাছে আসতেন। সেগুলো মেটাতে উদ্যোগী হতেন। এসব নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও তাঁর ভাল খাতির ছিল। এলাকায় বিকাশবাবুর প্রভাব বাড়ছিল, যা অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

Advertisement

তাঁকে খুনের পরে পেশায় গাড়ি চালক সুকুমার দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুকুমারের সঙ্গে প্রদীপ এবং সুবীরের ভাল সম্পর্ক। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সুকুমারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিলেন বিকাশবাবু। তাতে সুকুমার ৩৩ মাস জেলও খাটে। এ সব নানা কারণে সুবীর, সুকুমারদের সঙ্গে শত্রুতা ছিল বিকাশবাবুর। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘একাধিক ব্যক্তির আক্রোশ ছিল বিকাশবাবুর উপর। তার জেরেই বিকাশবাবুকে খুনের ছক কষে অভিযুক্তরা। সুকমারবাবু এবং ধৃত আরও তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা যায়, তার সঙ্গে সুবীর এবং প্রদীপের বক্তব্যের মিল রয়েছে। সুবীরই গুলি করে বিকাশবাবুর মাথায়।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই বলেছি বিকাশবাবুকে খুনের পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘সুবীর বিজেপির কর্মী হতেই পারে। তবে খুনের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনায় যারা জড়িত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।’’ ডাবগ্রাম এলাকার বিজেপি নেতা অলকবাবুর মোবাইল ফোন দুটি এদিন বন্ধ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন