ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা-বাগান থেকে উদ্ধার চিতাবাঘের দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা-বাগান থেকে উদ্ধার চিতাবাঘের দেহ। বৃহস্পতিবার গয়েরকাটা চা-বাগানের হিন্দুপাড়া ডিভিশনের ২১ নম্বর সেকশনে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাগানের শ্রমিকেরা। হঠাৎই ঝোপের থেকে অদ্ভুত গন্ধ পান তাঁরা। কাছে গিয়ে দেখেন, এক মাঝবয়সি চিতাবাঘের নিথর দেহ! খবর ছড়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাগানের সহকারী ম্যানেজার, সঙ্গে মোরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীদের দল এবং বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের সদস্যেরা। বনকর্মীদের তৎপরতায় দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
বন দফতরের প্রাথমিক ধারণা, চিতাবাঘটির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। এর নেপথ্যে কী কারণ, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। বনাধিকারিক চন্দন ভট্টাচার্য বলেন, “চিতাবাঘটির মৃত্যুর কারণ আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে। ডুয়ার্স অঞ্চলে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে আমরা সর্বদা সতর্ক এবং প্রতিটি ঘটনার পিছনের কারণ অনুসন্ধানে সচেষ্ট।”
বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল এবং আশপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বনকর্মীদের টহলও, যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে। স্থানীয়দের এখন একটাই প্রশ্ন, চিতাবাঘটির জীবনের ইতি টানল কে বা কী? তদন্তে সেই উত্তর খুঁজছে বন দফতর।