উদ্ধার ছাত্রীর দেহ, ধৃত সৎমা

বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রানিপুরায়। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর আত্মহত্যার ঘটনা সাজাতে তাকে বাঁশগাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২১
Share:

বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রানিপুরায়। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর আত্মহত্যার ঘটনা সাজাতে তাকে বাঁশগাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মুনেমা খাতুন (১৭)। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। সূত্রের মতে, কিশোরীর সৎমা ওই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ তুলে তাঁকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়, বাবাকেও ঘরে তালা আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে সৎমাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, দু’বছর আগে স্ত্রী’র মৃত্যুর পর মেহবুব আলম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সৎমা রাবেশা বিবি মুনেমার উপরে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। ফলে মাধ্যমিক পাশ করার পর মুনেমা মামাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। উচ্চ মাধ্যমিকের পর তার বিয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু করেন বাবা। দু’দিন আগেই মামাবাড়ি থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। তারপর এ দিন সকালে ঘটে ঘটনাটি।

Advertisement

প্রতিবেশী এবং মুনেমার পরিজনদের অভিযোগ, বাঁশগাছে ফাঁস দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া তার পায়ে রক্ত লেগে ছিল। দু’পায়ের নখও থেঁতলে গিয়েছিল। তা থেকেই তাঁদের সন্দেহ, বাড়িতে খুন করে তাকে বাঁশগাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা আরও জানান, বাড়ি থেকে ওই বাঁশঝাড় পর্যন্ত কংক্রিটের রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়াতেই তার নখ উপড়ে গিয়েছে। সূত্রের মতে, এর পরেই রাবেশাকে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে এসে গাছে বেঁধে রাখেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের একাংশ তাকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়ের বিয়ে দিতে হলে টাকা খরচ হবে। তাই পরিকল্পিত ভাবে মুনেমাকে ওর সৎমা খুন করেছে বলে সন্দেহ তাঁদের।

মৃতার কাকা মহম্মদ রইসুল বলেন, ‘‘মেয়েটিকে ওর সৎমা নানা অছিলায় মারধর করত। তাই মামাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। কিন্তু তারপরেও ওকে এ ভাবে মরতে হবে ভাবিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement