ভারিয়াডাঙ্গির নির্যাতিতা দুই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তেতে ওঠে করণদিঘি থানার রসাখোয়া শিলিগুড়ি মোড়।
এ দিন দুপুর পৌনে একটা নাগাদ ছোটগাড়িতে চেপে ওই দুই নাবালিকার বাড়িতে যাচ্ছিলেন রূপা। আগাম খবর থাকায় রসাখোয়ার শিলিগুড়িমোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভারিয়াডাঙ্গি গ্রাম। বাধা ভেঙে রূপার নেতৃত্বে বিজেপির নেতা কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। সেইসময় রূপা সহ বিজেপির একদল নেতা কর্মী আচমকা অন্য রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে ভারিয়াডাঙ্গির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রূপার অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি পুলিশকে বলেছিলাম দু’জন পুলিশকর্মী দিন, আমি একা নির্যাতিতাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু পুলিশ সে কথা শোনেনি।’’
জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, ‘‘আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতেই নির্যাতিতা কিশোরীদের বাড়িতে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ নির্যাতিতাদের বাড়িতে যেতে বাধা পেয়ে শেষপর্যন্ত রায়গঞ্জ সার্কিট হাউসে চলে যান রূপা। পরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ধৃতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এ দিন কেয়ারটেকারকে ধমকে জোর করে সার্কিট হাউসে বাড়তি দু’টি ঘর দখল করারও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির সাংসদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে সার্কিট হাউসে তাঁর নামে একটি ঘর বুক করা থাকলেও আরও দু’টি ঘর তাঁদের দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। বাধ্য হয়ে ঘর খুলে দেন কেয়ারটেকার উত্পল শীল। সার্কিট হাউসের কর্মীরাই এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানান। জেলাশাসক আয়েশা রানির দাবি, ‘‘প্রশাসন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’