শ্যালককে গুলি, ধৃত জামাইবাবু

গুলিবিদ্ধ চিকিৎসাধীন শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে। সেখানেই তাঁকে দেখতে গিয়ে জামাইবাবু ধরা পড়ে গেলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ০২:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিদির বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ভাই। অভিযুক্ত জামাইবাবুই। গুলিবিদ্ধ চিকিৎসাধীন শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে। সেখানেই তাঁকে দেখতে গিয়ে জামাইবাবু ধরা পড়ে গেলেন।

Advertisement

শ্যালক নারায়ণ সরকার ও জামাইবাবু নগরবাসী সরকারের বাড়ি কোচবিহারের চান্দামারি এলাকায়। দু’জনেই বিজেপি কর্মী। নগরবাসীবাবুর স্ত্রী পুষ্পদেবী এ বার পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ভক্তিনগর থানা এলাকার একটি নার্সিংহোমের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় নগরবাসীকে। ওই ঘটনায় বিজেপি শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশের দাবি, নগরবাবু গাঁজা পাচারের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে। পুজোর দিন ওই বাড়িতে নগরবাবুর সঙ্গে স্থানীয় একজনের বচসা হয়। সে সময় নগরবাবুর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চলে। ওই গুলিতেই জখম হন নারায়ণবাবু। তা নিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেন নারায়ণবাবুর এক আত্মীয়। কোচবিহারের পুলিশ ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “অভিযুক্ত এর আগেও একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।” পুলিশ জানিয়েছে ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।

Advertisement

বিজেপির কোচবিহার সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য জানান, কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী দিতে পারে। নগরবাবুর স্ত্রী পুষ্পদেবী সেই প্রার্থী। তিনি জয়ীও হন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শাসক দলের নেতারা। কিছু দিন ধরেই পুষ্পদেবীকে দলে টানতে চেষ্টা করছিলেন শাসকদলের নেতারা। রাজি না হওয়ায় নগরবাবুকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়। সেই গুলি নারায়ণবাবুর মুখে লাগে। বিজেপি সভাপতি বলেন, “বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য নিয়েই নানা ভাবে আক্রমণ হচ্ছে। কোথাও খুন, হুমকি, জরিমানা চলছে। পুলিশ দিয়েও মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। নগরবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে।”

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, নগরবাবু দীর্ঘদিন গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্মেরও অভিযোগ রয়েছে। আর ওই ঘটনা নগরবাবুর বাড়িতেই ঘটেছে। সেখানে তৃণমূলের কেউ ছিলেন না। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পুলিশ কেন এলাকার সবাই জানে বিজেপির ওই নেতাকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে।”

শিলিগুড়ি কমিশনারেটের এক অফিসার জানান, সন্ধ্যার পরেই কোচবিহার পুলিশের তরফে অভিযুক্তের সম্পর্কে জানানো হয়। তার পরেই নার্সিংহোমে নজরদারি শুরু হয়। কোচবিহার পুলিশের দল এলে তাঁদের সাহায্য করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন