টাকা দাবি, না দিয়ে এ বার গাজলে আক্রান্ত ব্যবসায়ী

এবার দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় হামলার শিকার হলেন এক ব্যবসায়ী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর ছেলেও। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজলের কুতুবপুর গ্রামে। আহত আজাদুর শেখ ও ইদুল শেখকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৬ ০২:০৮
Share:

এবার দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় হামলার শিকার হলেন এক ব্যবসায়ী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর ছেলেও। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজলের কুতুবপুর গ্রামে। আহত আজাদুর শেখ ও ইদুল শেখকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই গাজল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গাজলের পান্ডুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের কুতুবপুর গ্রামে বসবাস করেন আজাদুর শেখ। গ্রামেই তাঁর পশু খাদ্যের দোকান রয়েছে। মাস দুয়েক আগে তিনি দোকান ঘর পাকা করেছেন। এর পরেই গ্রামের কয়েক জন যুবক ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয় ওই ব্যবসায়ীকে। তবে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসাও হয় বলে অভিযোগ।

এ দিন দোকান বন্ধের পর গ্রামেরই একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন আজাদুর শেখ। অভিযোগ, সেই সময় জনা আটেক যুবক তাঁর উপরে চড়াও হয়। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁকে। তাঁকে বাঁচাতে যান ছোট ছেলে ইদুল শেখ। তখন মারধর করা হয় তাঁকেও। দু’জনকেই আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়। দু’জনেরই মাথায় আঘাত লাগে। গ্রামবাসীরা ছুটে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দু’জনকে গাজল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকার মানুষ। তবে আঘাত গুরুতর থাকায় রাতেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। আজাদুর শেখ বলেন, ‘‘গ্রামের মুরতুজ শেখ, তোতা শেখ সহ আট দুষ্কৃতী এক মাস ধরে ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমরা পাকা দোকান করেছি বলে ওই টাকা দিতে হবে। সেই টাকা না দেওয়ায় আমাদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা চাই পুলিশ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করুক।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে নতুন দোকান হলেই মুরতুজ শেখের দলবল তোলা আদায় করে। ভয়ে কেউ তাদের কিছু বলার সাহস দেখায় না। গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের ফতেমা বিবি বলেন, ‘‘রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী এমন করেছে বলে শুনেছি। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’’

মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন