চ্যাংরাবান্ধায় ব্যাঙ্কের দাবি আমদানি-রফতানিকারকদের

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানিকারকদের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কের কাজ করতে হচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি চ্যাংরাবান্ধার ব্যবসায়ীদের। সমস্যার সুরাহার জন্য শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে আর্জি জানিয়েছে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৫ ০২:১৩
Share:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানিকারকদের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কের কাজ করতে হচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি চ্যাংরাবান্ধার ব্যবসায়ীদের। সমস্যার সুরাহার জন্য শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে আর্জি জানিয়েছে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

এ দিন শিলিগুড়িতে রফতানিকারকদের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিইও দিলীপ পটবর্ধন, ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিপার্টমেন্টের (বিদেশি মুদ্রা বিভাগের) ডিজিএম সুজিত অরবিন্দ, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট ডিরেক্টর পিপি শ্রীনাথ এবং উত্তরবঙ্গ ভিত্তিক রফতানিকারকদের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। রফতানিকারকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, চ্যাংরাবান্ধার আমদানি-রফতানি থেকে থেকে প্রতি মাসে সরকার ১ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। এর পরেও কেন তার উন্নয়নে নজর দেয় হয় না। এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দিনের বৈঠকে চ্যাংরাবান্ধায় একটি ব্যাঙ্কের শাখা খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যেখানে আমদানি রফতানি সংক্রান্ত ব্যাবসার লেনদেন হবে। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন বলে সংগঠনের সম্পাদক অজয় প্রসাদ জানান।

অজয়বাবু বলেন, “সরকারি ভাবে বহু বার আমরা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের আশ্বাস পেয়েছি। কয়েক বছর আগে বাণিজ্য মন্ত্রী থাকার সময় জয়রাম রমেশ ৬৪ কোটি টাকায় স্থল বন্দরের পরিকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।” তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়িক দিক দিয়ে চ্যাংরাবান্ধার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। যেখানে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত লেনদেন হয় না। চ্যাংরাবান্ধায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, সে কথা জানেন মেখলিগঞ্জের বিডিও অনির্বাণ রায়। তিনি বলেন, “আমরা ওই সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছিল।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement