মার্কেটের জন্য বন্ধ রাস্তা, ক্ষোভ শহরে

তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা টেম্পল স্ট্রিটের একাংশ। দু’দিকে ট্রাফিক পুলিশ লেখা লোহার ব্যারিকেড লাগিয়ে বন্ধ রাস্তাতেই দিনভর বালি-সিমেন্ট মিশিয়ে চলল ঢালাইয়ের কাজ৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা টেম্পল স্ট্রিটের একাংশ। দু’দিকে ট্রাফিক পুলিশ লেখা লোহার ব্যারিকেড লাগিয়ে বন্ধ রাস্তাতেই দিনভর বালি-সিমেন্ট মিশিয়ে চলল ঢালাইয়ের কাজ৷ ধরম পাশোয়ান নামের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ওই প্রোমোটারের দাবি, পুরসভা ও পুলিশের অনুমতি নিয়েই তিনি রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজ করছেন এবং পুলিশই রাস্তার দুদিকে ব্যারিকেড দিয়েছে৷

Advertisement

বিতর্কের মধ্যে পড়ে পুরসভা ও পুলিশ গোটা ঘটনার দায় একে অপরের ঘারে চাপাতে শুরু করেছে৷

প্রভাত মোড় থেকে সমাজপাড়া মোড় যেতে টেম্পল স্ট্রিটের পাশের একটি জমিতে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ করছেন ধরম৷ সে জন্য এ দিন ভোরবেলাতেই প্রভাত মোড় ও সমাজ পাড়া মোড়ে ব্যারিকেড লাগিয়ে রাস্তাটি যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷ প্রায় গোটা রাস্তা জুড়েই বালি পাথর ফেলে ওই সময় থেকেই ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে দেন ধরম৷ গোটা দিন ধরে এ ভাবেই বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে রাস্তাটি৷

Advertisement

জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর খুব কাছের লোক বলে পরিচিত ধরমের কথায়, ‘‘সোমবার ঢালাইয়ের জন্য রাস্তা ব্যবহার করতে চেয়ে আমি পুরসভা ও পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম৷ কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা ও কাজের দিন থাকায় পুরসভা আমায় রবিবার ঢালাইয়ের কাজ করার অনুমতি দেয়৷ একই অনুমতি দেয় পুলিশও৷ তাই এ দিন কাজ করছি৷’’

জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি ও সিপিএম কাউন্সিলর প্রমোদ মণ্ডলও বলেন, ‘‘ধরমবাবু তৃণমূলের ঘরের লোক বলেই এটা করতে পারছেন৷’’

যদিও জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘যত দূর জানি, ধরমকে ওই রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি পুরসভাই দিয়েছে৷ কিন্তু তাঁরা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকালেন কেন?’’ দিনভর ট্রাফিক পুলিশ লেখা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে থাকলেও, ওই পুলিশকর্তার দাবি, তাঁরা রাস্তা আটকাননি৷

আর চেয়ারম্যান মোহনবাবুর কথায়, ‘‘রাস্তা আটকে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কোনও অনুমতি আমরা দিইনি৷ তা ছাড়া, কোনও রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের৷’’ তিনি বলেন, ‘‘তবে রাস্তা জুড়ে বালি পাথর ফেলে রাখলে ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেবে পুরসভা৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement