Coochbehar Accident

বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে নয়ানজুলিতে পড়ল গাড়ি, কোচবিহারে মৃত্যু দুই শিশু-সহ বাবা-মায়ের

মৃতদের নাম সঞ্জিত রায় (২৫), বিপাশা সরকার রায় (৩৩), ইসাশ্রী রায় (৫) এবং ইভান রায় (২)। ওই দম্পতির দু’জনেই শিক্ষকতা করতেন। সঞ্জিত নাটাবাড়ি হাই স্কুল এবং বিপাশা নাটাবাড়ি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০২
Share:

নিহত পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে গাড়ি করে ফেরার পথে নয়ানজুলিতে পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার সদস্যের। রবিবার রাতে খাপাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ার পার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়িতে দুই শিশু ও স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে সকলের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সঞ্জিত রায় (২৫), বিপাশা সরকার রায় (৩৩), ইসাশ্রী রায় (৫) এবং ইভান রায় (২)। ওই দম্পতির দু’জনেই শিক্ষকতা করতেন। সঞ্জিত নাটাবাড়ি হাই স্কুল এবং বিপাশা নাটাবাড়ি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। রবিবার রাতে খাপাইডাঙ্গার কুড়ার পার এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা। সঙ্গে দুই শিশুও ছিল। আচমকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলে মিলে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। দুই শিশু-সহ চার জনেরই মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জিতরা বানেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাউয়ারডেরা এলাকার বাসিন্দা। মাত্র তিন মাস আগেই গাড়ি কিনেছিলেন তাঁরা। রবিবার রাতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে পরিবারের সঙ্গে ফিরছিলেন সঞ্জিত। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হল না!

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে গাড়িটিও উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মৃত সঞ্জিতের ভাই শুভম রায় বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যায় দাদা-বৌদি তুফানগঞ্জের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়েছিলেন। তার পর রাতে ফোনে দুর্ঘটনার খবর পাই। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই আমরা। তত ক্ষণে দাদা-বৌদির মৃত্যু হয়েছে। বাচ্চা দুটোকে স্থানীয় বাসিন্দারা এমজেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদেরও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিন মাস আগেই দাদা নতুন গাড়ি কিনেছিল। কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারছি না।’’ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement