শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে গোলমালের জেরে এ বার সভাকক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর আগে আন্দোলনের নামে তৃণমূলের সমর্থকরা দলের ঝাণ্ডা নিয়ে বোর্ডের সভায় প্রতিবাদ করতে ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সভাকক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাতে চান পুর কর্তৃপক্ষ। মেয়র বলেন, ‘‘যে ধরনের ঘটনা সম্প্রতি বিরোধীরা ঘটাচ্ছেন, তা অনভিপ্রেত। গণতন্ত্র, সুস্থ সংস্কৃতির পক্ষে উদ্বেগের। তাই আমরা সভাকক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর কথা ভাবছি।’’
আজ, বুধবার পুরসভার উদ্যোগে শহর পরিষ্কার রাখতে, ডেঙ্গি প্রতিরোধ এবং প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচারে র্যালি বার হবে। তাতে বিরোধীরা অংশ নেবেন না বলেই ঠিক করেছেন। তারা মেয়রের ওই কর্মসূচিতে অংশ না-নিয়ে নিজেদের মতো ওয়ার্ডগুলোতে সাফাই পরিষেবা-সহ বাকি কাজ করবেন। রবিবার সকালে মেয়র হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। মাথার চোট পাওয়ায় শীঘ্রই কলকাতায় চিকিৎসককে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বুধবার তিনি পুরসভায় যাবেন বলে জানিয়েছেন। তা ছাড়া প্রচার র্যালিতেও উপস্থিত থাকবেন।
এ দিন রঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘মেয়রের লোক দেখানো ওই কর্মসূচিতে আমরা অংশ নিতে চাই না। সভাকক্ষে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে অর্থ অপচয় করতে হবে না। ট্রেড লাইসেন্স-সহ সে সমস্ত বিভাগে দুর্নীতি হচ্ছে, মানুষ পরিষেবা নিতে এসে হয়রান হচ্ছে সেখানে সিসি ক্যামেরা বসান।’’
তৃণমূলের অভিযোগ, আসল কাজ মেয়র করছেন না। বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনা পড়ে থাকছে। সন্ধে হলেই মশার উপদ্রবে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। তাঁদের আরও দাবি, শিলিগুড়ি শহর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতেও পুর কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।