উন্নয়ন চেয়ে নবান্নে যাচ্ছেন পুরপ্রধান

কর্পোরেশন ঘোষণা সহ শহর উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরমন্ত্রী ববি হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। শহর এলাকার দ্রুত উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘স্পেশাল প্যাকেজ’ ঘোষণার আর্জি রাখবেন চেয়ারম্যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০২:১৯
Share:

কর্পোরেশন ঘোষণা সহ শহর উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরমন্ত্রী ববি হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু।

Advertisement

সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। শহর এলাকার দ্রুত উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘স্পেশাল প্যাকেজ’ ঘোষণার আর্জি রাখবেন চেয়ারম্যান।

মোহনবাবু বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে উন্নয়নের যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলি রক্ষা করাই আমাদের অগ্রাধিকার। পুরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করা, সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত দিনবাজারকে এক বছরের মধ্যে তৈরি করা, করলা নদী সৌন্দর্যায়ণ, বিভিন্ন ওয়ার্ডের আধুনিকিকরণ সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য কলকাতায় যাচ্ছি।”

Advertisement

উন্নয়নের কোন বিষয়গুলি নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দরবার করবেন কয়েকদিনে পুরসভার আধিকারিকদের দিয়ে সেই ফাইল তৈরি করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। তিনি জানান, জলপাইগুড়ি শহরের জনসংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিডিও অফিস মোড়, পাণ্ডাপাড়া, ৭৩ মোড় ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠছে। চাষের জমিতে বহুতল গড়ে উঠছে। দমকল, অ্যাম্বুলেন্সের যাতায়াতের জায়গা না রেখে জমি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এই মুহূর্তে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে দূষণমুক্ত সবুজ শহর নির্মাণ এবং কর্পোরেশনের পরিকাঠামো তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘পুরমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বিষয়ে সবিস্তারে কথা বলব। উন্নয়নের কাজের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ দরকার। সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।”

এবার পুর ভোটে পুরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করা সহ আধুনিক শহর তৈরির একগুচ্ছ উন্নয়নের কর্মসূচি সামনে রেখে প্রচারে নামে তৃণমূল। পুরসভার ২৫টি আসণের মধ্যে ১৫টি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর উন্নয়ন প্রকল্পে পানীয় জল, পথবাতি, রাস্তা, নিকাশি সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শৈশব বিকাশের পরিবেশ তৈরি করতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে একাধিক শিশু উদ্যান গড়ে তোলার। পুরসভা কর্পোরেশনে উন্নীত হলে প্রশাসনিক কাজের জন্য আরও অনেক ভবন প্রয়োজন হবে।

সেটাও প্রকল্প তৈরির সময় চিন্তায় রেখেছেন পুরসভার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অত্যাধুনিক পথবাতি বসেছে। সংযোজিত এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ, আরও সুলভ শৌচালয় তৈরি, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কতৃপক্ষের আর্থিক সাহায্যে রাজবাড়ি দিঘি সৌন্দর্যায়ণের কাজ চলছে। একইভাবে করলা নদীতেও কাজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন