West Bengal Municipal Election 2020

পুরভোটের আগে বদল দল, জল্পনা

বিজেপি-বাম-কংগ্রেস— তিন দলেরই বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক ও জেলা নেতৃত্ব যোগ দিলেন তৃণমূলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১১
Share:

দলবদলের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র

বিজেপি-বাম-কংগ্রেস— তিন দলেরই বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক ও জেলা নেতৃত্ব যোগ দিলেন তৃণমূলে। পুরভোটের মুখে এই দলবদলের কী প্রভাব পড়বে— তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কমিটি সদস্য তথা প্রাক্তন টাউন সভাপতি মিঠু মোহান্ত এবং বিজেপির শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি শ্যামসুন্দর সাহা সহ কয়েক হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও ওই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

এ দিন বিকেলে শহরের উৎসব ভবনে কয়েক হাজার বিজেপি নেতা-কর্মী এবং বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা তৃণমূলে যোগ দেন বলে খবর। তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের দাবি, ‘‘এ দিন অন্তত ৩ হাজার জন তৃণমূলে যোগ দেন। ছিলেন বিজেপির বালুরঘাট টাউন মণ্ডল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মিঠু মোহান্ত।’’ বিজেপির সদ্য প্রকাশিত জেলা কমিটিতেও তাঁকে সদস্য করা হয়েছিল বলে খবর।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি শ্যামসুন্দর সাহা, বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সাধারণ সম্পাদক চণ্ডী সাহা, বিজেপির টাউন মণ্ডল কমিটির প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবায়ন গোস্বামী, প্রাক্তন টাউন সহ সভাপতি কাজল সরকারও শাসক দলে যোগ দেন। দল বদল করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসও। দল সূত্রেই খবর, শাসকদলে যোগদান করেন কয়েক হাজার কর্মী, রয়েছেন কংগ্রেস সমর্থকেরাও। তাদের হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন অর্পিতা। অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার, তৃণমূল জেলা সম্পাদক বিপ্লব মণ্ডল, বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি সুভাষ চাকি।

Advertisement

তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপির টাউন মণ্ডল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মিঠু মোহান্তের অভিযোগ, বিজেপিতে কর্মীরা সম্মান পাচ্ছেন না। জেলা কমিটির কোনও ভূমিকা নেই। এছাড়া কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সিএএ, এনআরসি নিয়েও মানুষ অখুশি। এগুলির প্রতিবাদ করেই তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষকে পাশে নিয়ে চলতে চাই।’’

তবে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার জানান, পুরনির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বিভিন্ন কমিটি পরিবর্তন করেছেন। ফলে অনেক জায়গায় মিঠু এবং অন্যান্য নেতৃত্ব কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাই হতাশা থেকেই তাঁরা তৃণমূলে গিয়েছেন বলে দাবি বাপির। আর বিজেপি থেকে কয়েক হাজার সমর্থকের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যে বলেই জানালেন তিনি।

সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘‘অন্যায় সুবিধা করতে না পেরে ওঁরা শাসকদলে ভিড়েছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’

প্রাক্তন বাম পুরপ্রধান তথা আরএসপি জেলানেত্রী সুচেতা বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ‘‘ভয় দেখিয়েই কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গিয়েছে। স্বেচ্ছায় কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি।’’

আর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর কথায়, ‘‘যাঁরা তৃণমূলে যাওয়ার আগেই গিয়েছেন। এখন নতুন করে যোগ দেওয়ার ঘটনা মিথ্যা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন