Cheetah

ঘরে ঢুকে গৃহস্থের ছাগল নিয়ে দৌড় চিতাবাঘের! কোচবিহারের গ্রামে গেল বন দফতর, অবশেষে বন্দি

মঙ্গলবার সকালে পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তরুণের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল ওই চিতাবাঘটি। ঘর থেকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৭
Share:

খাঁচায় বন্দির পর। —নিজস্ব চিত্র।

তখনও ভোরের আলো ঠিক করে ফোটেনি। ছাগলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তরুণ রায়ের। বিছানা থেকে উঠেই দেখেন, বাড়ি থেকে পালিত ছাগলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি চিতাবাঘ। তিনিও পিছনে পিছনে দৌড় দেন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে তখন প্রতিবেশীরাও জেগে গিয়েছেন। বিপদ বুঝে শিকারকে ফেলে পালাতে বাধ্য হয় চিতাবাঘটি। কিন্তু তার পর থেকে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সকলের চিন্তা, এক বার লোকালয়ে ঢুকেছে মানে আবার হয়তো গ্রামে ঢুকবে চিতা। খবর যায় বন দফতরে। তার পর দীর্ঘ ‘চোর-পুলিশ খেলা’র পর চিতাবাঘটিকে বন্দি করেছেন বনকর্মীরা। হাঁপ ছেড়েছেন কোচবিহার-২ ব্লকের পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তরুণের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল ওই চিতাবাঘটি। ঘর থেকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। সেই সময় তরুণের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি ছাগলটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তার পর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চিতাবাঘ ঢোকার খবর। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। শেষ পর্যন্ত চিতাবাঘটিকে ধরে খাঁচায় ভরেন বনকর্মীরা। পরে চিলাপাতা জঙ্গলে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ বলেন, ‘‘সকালবেলা খবর এসেছিল একটি চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। চিতাবাঘটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ় করে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিতাবাঘটি সুস্থই আছে।’’

Advertisement

এর আগে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গঙ্গারাম চা-বাগানের অচানক বস্তির চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। একটি শিশুকে চিতাবাঘ মুখে করে তুলে নিয়ে পালিয়েছিল বলে দাবি করেন স্থানীয়েরা।পরে যে জায়গা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি চিতাবাঘের আস্তানা বলেই দাবি করেন তাঁরা। যদিও বন দফতর সে কথা মানেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement