মাঝে শুভেন্দু। দু’দিকে দুই মন্ত্রী। চোপড়ার সভায়, বুধবার। নিজস্ব চিত্র
সোমবার এলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। জানিয়ে গেলেন, সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে যাঁরা আন্দোলনকারী করছেন, প্রয়োজনে তাঁদের নিয়ে দিল্লি যাবেন। পরদিন এলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। জানিয়ে গেলেন, দিল্লি যাওয়া হবে কিনা, তার অনুমতি নিতে আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে।
বুধবার ওই মঞ্চে ফের এলেন গৌতম। তিনি এ দিন দাবি করেন, সার্কিট বেঞ্চ আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি সবই দলনেত্রী জানেন। গৌতম বলেন, “বেঞ্চের কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত। এখন সংসদ চলছে। যেখান গিয়ে আন্দোলন করলে চট করে কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে পড়বে বিষয়টা। প্রয়োজনে সেখানে যাব।” যা শুনে তৃণমূলেরই একাংশ বলছে, এ ভাবে গৌতম রবির কথার জবাব দিলেন। যদিও কেউ কারও নাম করেননি।
তবে সার্কিট বেঞ্চের আন্দোলন মঞ্চ থেকে গৌতমের এই কথা দুই নেতার মধ্যেকার ঠান্ডা লড়াইকে আরও একটু উস্কে দিল বলে মনে করছেন তাঁরা। এ দিন অবশ্য চোপড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দু’জনকে একসঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গেল। মাঝে একটি আসন রেখে বসেছিলেন তাঁরা। মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ওটা তো শুভেন্দুর সভা। ওখানে না গিয়ে উপায় আছে! এর মধ্যে তৃণমূল সূত্রে খবর, সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি তৈরি করতে জলপাইগুড়ি জেলা নেতাদের ডাক পড়েছে কলকাতায়। চলতি মাসেই কলকাতায় বেঞ্চ নিয়ে আলোচনা হবে। বুধবার তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শীঘ্রই জেলার বাছাই নেতাদের কলকাতায় যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন বলে খবর।
এ দিনের সভায় ব্রিগেড যাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্থির হয়েছে, ট্রেনে-বাসে কলকাতায় যাওয়া হবে। জেলায় ৮৪টি সভা হবে ব্রিগেড চলোর ডাক দিয়ে। সৌরভ বলেন, “৭ জানুয়ারি ফালাকাটায় ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”