বাড়ির উঠোনে ভাত রান্না করছিলেন মা। উনুনে বসানো হাঁড়ির ফুটন্ত ফ্যান গায়ে পড়ে মৃত্যু হল তিন বছরের এক শিশুর। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রামে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা।
মৃত শিশুর নাম গোলাম সাবির। তার বাবা আজমল হক দিনমজুরের কাজ করেন। তাঁর তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে গোলামই ছোট। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার বলেন, “খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পারিবারিক সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ বাড়ির উঠোনে উনুনে ভাত রাঁধছিলেন আজমলের স্ত্রী তাহিনুর বিবি। উঠোনে রান্নার জায়গার পাশেই খেলছিল গোলাম। উনুনে ভাত বসিয়ে অন্য কাজ করছিলেন তাহিনুর। আচমকা উনুনের কাছে চলে যায় গোলাম। বাচ্চাটি গরম হাঁড়িতে হাত দিল তা উল্টে যায়। গরম ফ্যান শিশুর গায়ের উপর পড়ে যায়। ঝলসে যায় ছোট্ট শিশুটি শরীরের অনেকটা অংশ। পরিবারের লোকজন প্রথমে তাকে নিয়ে যান সুজাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ওই শিশুটিকে সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাঠিয়ে দেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এ দিনই রাত ৯টা নাগাদ শিশুটি মারা যায়। খবর শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা তাহিনুর এবং পরিবারের লোকজন। আজমল বলেন, “মজুরের কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। ফোনে শুনে ছুটে আসি। কী করে এমনটা ঘটে গেল বুঝতে পারছি না।”