এখনও ধরা পড়েনি দুই পাচারকারী৷ তাই সোনাকাণ্ডে ধৃত জয়গাঁর এসডিপিও সহ তিন পুলিশ আধিকারিক ও সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক ও কর্মীকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছেন তদন্তকারী গোয়েন্দাদের একাংশ৷ যদিও সিআইডির কর্তারা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে উপর মহল থেকে আসা নির্দেশের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
গত ১০ সেপ্টেম্বর পাচার হওয়া সোনা উদ্ধারের পরে হাসিমারা ফাঁড়িতে তা ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জয়গার এসডিপিও অনিরুদ্ধ ঠাকুর, ওই ফাঁড়ির ওসি কমলেন্দ্র নারায়ণ, সাব ইন্সপেক্টর সত্যেন্দ্রনাথ রায়, সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পবন ব্রহ্ম ও কনস্টেবল দশরথ সিংহের বিরুদ্ধে৷ জানতে পেরেই গোপনে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা৷ আর তারপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ওই রাতেই ঘটনার তদন্তভার হাতে তুলে নেয় সিআইডি৷
তদন্তভার হাতে নিয়েই দুই পাচারকারীকে জালে পোরাই প্রথম লক্ষ্য হয়ে ওঠে গোয়েন্দাদের৷ কারণ, তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, জেরায় ধৃতদের দেওয়া সব উত্তর ঠিক নয়৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কোন উত্তর সঠিক দিচ্ছেন, কোনটাই বা ভুল তা যাচাইয়েও দুই পাচারকারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত তদন্তকারীদের৷ কিন্তু পুলিশ ও সেনা আধিকারিকদের গ্রেফতার পর চারদিন কেটে গেলেও দুই পাচারকারীর কোন সন্ধান পাননি তাঁরা৷ সিআইডির এক কর্তার কথায়, যে সব দিকে পাচারকারীদের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পাচারকারীদের চিহ্নিত করতে ধৃতদের দিয়ে তাদের ছবিও আঁকানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওই কর্তা৷
আজ, বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে৷ সিআইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের একাংশ চাইছেন, ধৃতদের ফের হেফাজতে নিতে৷