শীঘ্রই চালু হচ্ছে সার্কিট বেঞ্চ

আলোয় সাজুক শহর: কমিটি

কমিটির তরফে বলা হয়েছে সার্কিট বেঞ্চ চালুর মাধ্যমে পাঁচ দশকের দাবি পূরণ হচ্ছে, তা মাথায় রেখেই এমন সাজের কথা ভেবেছেন তারা। পাশাপাশি হাইকোর্ট এবং প্রশাসনের কাছে কমিটির অনুরোধ, বেঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যেন জায়ান্ট স্ক্রিনে সম্প্রচার করা হয়।

Advertisement

অর্জুন ভট্টাচার্য

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৪
Share:

জোরকদমে: কাজ চলছে সার্কিট বেঞ্চের অন্দরে। জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল

সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের আগের সন্ধে থেকে জলপাইগুড়ির প্রতিটি বাড়িতে পরানো হোক আলোর সাজ। এমনই আবেদন জানাল সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় ও সমন্বয় কমিটি। টুনি আলোর মালা বা মোমবাতি দিয়ে শহরের প্রতিটি বাড়ি সাজার কথা বলেছে তারা।

Advertisement

কমিটির তরফে বলা হয়েছে সার্কিট বেঞ্চ চালুর মাধ্যমে পাঁচ দশকের দাবি পূরণ হচ্ছে, তা মাথায় রেখেই এমন সাজের কথা ভেবেছেন তারা। পাশাপাশি হাইকোর্ট এবং প্রশাসনের কাছে কমিটির অনুরোধ, বেঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যেন জায়ান্ট স্ক্রিনে সম্প্রচার করা হয়। একসময়ে এই কমিটির ডাকে শহরের প্রতিটি সংগঠন, ক্লাব মিছিল-আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। সেই দাবি পূরণের দিনে সব ক্লাব এবং সংগঠনের কাছে কমিটি অনুরোধ করেছে শহরের মোড়ে মোড়ে বিজয় তোরণ তৈরি করে ফুল দিয়ে সাজাতে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শহরের রাস্তায় আলপনা দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে কয়েকটি সংগঠন।

সার্কিট বেঞ্চের দাবিতে সর্বস্তরের বাসিন্দাদের সামিল করতে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় ও সমন্বয কমিটি তৈরি হয়েছিল। বহুদিন পরে এ দিন শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত চত্বরে বার অ্যাসোসিয়েশনের ঘরে সমন্বয় কমিটি বৈঠকে বসল। এ দিন সন্ধের সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হওয়ার কথা। বেঞ্চের কাজ শুরু হবে তার দু’দিন পরে ১১ মার্চ থেকে। বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিটির সম্পাদক আইনজীবী কমলকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১৯৮৮ সাল থেকে জলপাইগুড়িতে শহরের বিভিন্ন ক্লাব, পাঠাগার, সংগঠন সহ সকলকে নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। সকলকে তাই এই স্বপ্নপূরণকে স্মরণীয় করে রাখতে অনুরোধ করছি।’’

Advertisement

সাধারণ বাসিন্দারা নিজেদের মতো করে আলো জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরসভাকেও শহর সাজাতে অনুরোধ করবে কমিটি। একসময়ে যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এখন বেঁচে নেই তাঁদের স্মরণেও তোরণ তৈরি হবে।

জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকারও বৈঠকে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বার অ্যাসোসিয়েশনও দ্রুত বৈঠকে বসবে। সমন্বয় কমিটির সদস্য হিসেবে এ দিনের বৈঠকে কংগ্রেস, বিজেপি ও বাম দলগুলো উপস্থিত ছিলেন। যদিও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “একটি জরুরি বৈঠক থাকায়, সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যেতে পারিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন